চিঠি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | মাইকেল মধুসূদন দত্ত | Chithi Class 8 Question Answer | Wbbse

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 8 এর চিঠি গল্পের প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের অষ্টম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা চিঠি গল্প রয়েছে। গল্পের শেষে যে সব প্রশ্ন গুলি রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

চিঠি

মাইকেল মধুসূদন দত্ত


হাতে কলমে

১.১ মধুসূদন দত্ত কোন কলেজের ছাত্র ছিলেন ?
উত্তর:-
মধুসূদন দত্ত হিন্দু কলেজের ছাত্র ছিলেন।

১.২ পদ্মাবতী নাটকে তিনি কোন ছন্দ ব্যবহার করেছিলেন?
উত্তর:-
মধুসূদন দত্ত পদ্মাবতী নাটকে অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেছিলেন।

২.১ মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর “প্রিয় ও পুরাতন বন্ধু” গৌরদাস বসাককে কোথা থেকে পাঠ্য চিঠিটি লিখেছিলেন? তাঁর যাত্রাপথের বিবরণ পত্রটিতে কীভাবে ধরা পড়েছে আলোচনা করো।
উত্তর:- মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘প্রিয় ও পুরাতন বন্ধু’ গৌরদাস বসাককে ভূমধ্যসাগরের ওপর দিয়ে যাত্রা করার সময় ‘সীলোন’ নামক জাহাজ থেকে পাঠ্য চিঠিটি লিখেছিলেন।

মধুসূদন দত্ত চিঠিতে যাত্রাপথের বিবরণ প্রসঙ্গে বলেছেন, যে জাহাজে করে তিনি পাড়ি দিচ্ছেন সেটি রূপকথার রাজ্যের ভাসমান প্রাসাদের মতো। জাহাজটির ভিতরের অংশ অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণ। জাহাজের সেলুনগুলো যেন রাজপ্রাসাদেই মানায়। ক্যাবিনগুলো যেন রাজকুমারদের জন্যই তৈরি। লেখক যে সময় চিঠিটি লেখেন তখন তিনি ভূমধ্যসাগরের মধ্য দিয়ে যাত্রাপথে উত্তর আফ্রিকার পর্বতাকীর্ণ উপকূল দেখতে পাচ্ছিলেন। জাহাজ মলটা, আলেকজান্দ্রিয়া ছাড়িয়ে দ্রুতগতিতে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছিল। তবে এই ভ্রমণ পথে লেখক মনে বিষন্নতাও অনুভব করেছেন। দুদিন পর রবিবারে লেখক যখন স্পেন উপকূল ছাড়িয়ে জিব্রাল্টার প্রণালীর দিকে চলেছেন তখন সমুদ্র ছিল শান্ত, অনেকটা হুগলি নদীর মতো। আবহাওয়াও ছিল বেশ মনোরম।

২.২ মধুসূদনের জীবনের উচ্চাশার স্বপ্ন কীভাবে পত্রটিতে প্রতিভাসিত হয়ে উঠেছে?
উত্তর:-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘সীলোন’ নামক জাহাজে চেপে ইংল্যান্ডে যাওয়ার সময় তাঁর বন্ধু গৌরদাস বসাককে যে চিঠিটি লিখেছিলেন তাতে তাঁর উচ্চাশার স্বপ্ন স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। মধুসূদন আইন শিক্ষার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেই শিক্ষা যথাযথভাবে সম্পূর্ণ করে একটি সম্মানজনক জীবিকা অর্জনে তিনি ছিলেন দৃঢ়সংকল্প । একথা তাঁর চিঠিতেই আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন তিনি লেখেন, পড়াশোনায় মন দিতে গিয়ে তিনি হয়তো বন্ধুদের বেশি সময় দিতে পারবেন না। বন্ধু গৌরদাস বসাককে মধুসূদন আরও জানান, ছোটবেলা থেকে ইংল্যান্ড সম্পর্কে তিনি অনেক স্বপ্ন দেখেছেন। আজ যখন একটু একটু করে সেই স্বপ্নের দেশের দিকে এগিয়ে চলেছেন, তা যেন তাঁর নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। ছোটবেলা থেকেই ইংরেজি ভাষা, সাহিত্য এবং ইংরেজদের প্রতি মধুসূদনের গভীর আকর্ষণ ছিল। ইংল্যান্ড ছিল তাঁর স্বপ্নের দেশ। তাই জাহাজে করে মধুসূদনের ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়া যেন তাঁর কাছে উচ্চাশার স্বপ্ন পূরণের নামান্তর।

২.৩ বিদেশে পাড়ি জমানোর সময়েও তাঁর নিজের দেশের কথা কীভাবে পত্রলেখকের মনে এসেছে?
উত্তর:-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘চিঠি’ পাঠ্যাংশে মধুসূদন ‘সীলোন’ জাহাজ থেকে যে চিঠিটি তাঁর বন্ধু গৌরদাস বসাককে লিখেছিলেন, সেই লেখার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে পত্রলেখকের নিজের দেশের ছবি।

চিঠিতে মধুসূদন লিখেছেন, তাঁর মনে হয়েছে সেই জাহাজে যদি আধ ডজন নিজের দেশের লোক থাকত, তাহলে তাদের নিয়েই তিনি একটা গোষ্ঠী তৈরি করে ফেলতেন। অর্থাৎ দেশবাসীর জন্য তিনি কতটা ব্যাকুল একথা থেকেই তা স্পষ্ট বোঝা যায়। হরির কথা জিজ্ঞাসা করার মধ্য দিয়ে তাঁর উৎকণ্ঠা প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি সমুদ্রের শান্ত প্রকৃতিকে তুলনা করতে গিয়ে তিনি নিজ দেশের হুগলি নদীর নাম স্মরণ করেছেন। মধুসূদনের মনে হয়েছে সেখানকার মনোরম আবহাওয়া ও আমাদের দেশেরই নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মতো। সব মিলিয়ে বলা যায় জাহাজে চড়ে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেও, নানা প্রসঙ্গে লেখকের মনে নিজের দেশের চিত্র ভেসে এসেছে। যা থেকে বোঝা যায় স্বদেশের প্রতি তাঁর যথেষ্ট টান ছিল।

২.৪ একথা যেন আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।’ – কোন কথা? সে-কথাকে বক্তার অবিশ্বাস্য বলে মনে হচ্ছে কেন? কোন কথা?
উত্তর:-
মধুসূদন দত্ত রচিত ‘চিটি’ নামক পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে মধুসূদন যে প্রতিটি মুহূর্তে তাঁর স্বপ্নের দেশ ইংল্যান্ডের দিকে একটু একটু করে এগিয়ে চলেছেন এই কথাটি তাঁর বিশ্বাস হচ্ছে না।

অবিশ্বাস্য মনে হওয়ার কারণ:- ছোটবেলা থেকেই ইংরেজি ভাষা, সাহিত্য এবং ইংরেজদের প্রতি মধুসূদনের গভীর আকর্ষণ ছিল। ইংল্যান্ড ছিল তাঁর স্বপ্নের দেশ। তাই আজ যখন তিনি ‘সীলোন’ নামক জাহাজে চেপে একটু একটু করে এগিয়ে চলেছেন ইংল্যান্ডের দিকে তা যেন তাঁর বিশ্বাস হচ্ছে না। আসলে মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন যখন সত্যি হয়, তখন তা অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়। এখানে মধুসূদন দত্ত সেই অভিজ্ঞতারই সম্মুখীন হয়েছেন।

২.৫ প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে হৃদ্যতার ছবি পত্রটিতে কীভাবে ফুটে উঠেছে তা প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতিসহ আলোচনা করো।
উত্তর:-
মধুসূদন দত্ত রচিত ‘চিঠি’ নামক পাঠ্যাংশে প্রিয় বন্ধুর প্রতি মধুসূদনের ভালোবাসার ছবি ধরা পড়েছে। চিঠিটি মধুসূদন দত্ত লিখেছিলেন প্রিয় বন্ধু গৌরদাস বসাককে। পত্রলেখক বন্ধুকে ‘হে আমার প্রিয় ও পুরাতন বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছেন। এই সম্বোধন থেকেই তাঁদের সুগভীর বন্ধুত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। মধুসূদন দত্ত তাঁর চিঠিতে পুরোনো বন্ধু হরির খবর ও নিয়েছেন। ইংল্যান্ডে পৌঁছে নিজের ঠিকানা জানানোর পর গৌরদাস বসাক যেন তাকে প্রাণ উজাড় করে অনবরত চিঠি লেখেন এটাই মধুসূদনের ইচ্ছা। ‘সীলোন’ জাহাজ থেকে লেখা চিঠিতে মধুসূদন নিজের যাত্রাপথের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা বন্ধুকে লিখে পাঠাতে চেয়েছেন এর থেকে বোঝা যায় গৌরদাস বসাক বন্ধু হিসেবে তাঁর কতটা আপন। চিঠির শেষে তিনি নিজেকে গৌরদাস বসাকের ‘অকৃত্রিম ও আন্তরিক ও চির স্নেহমুগ্ধ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

২.৬ রাজনারায়ণ বসুকে লেখা পত্রে লেখক তাঁর এই প্রিয় বন্ধুটির কাছে কোন আবেদন জানিয়েছেন?
উত্তর:-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘চিঠি’ পাঠ্যাংশে দেখা যায় বন্ধু রাজনারায়ণকে লেখা চিঠিতে মধুসূদন জানিয়েছেন তিনি ইতিমধ্যেই ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ এর ষষ্ঠ সর্গ লেখা সম্পূর্ণ করেছেন। এই কাব্যটি অদ্ভুত রকমের জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন এটি মিলটনের চেয়ে উৎকৃষ্টতর লেখা। তবে মধুসূদন তা স্বীকার করতে রাজি নন। কারণ মধুসূদনের মতে মিলটন স্বর্গীয় উচ্চতার কবি। যদিও ‘কালিদাস বা তসো’র সঙ্গে নিজের তুলনায় তিনি আপত্তি জানাননি। হাজার হাজার মানুষ মধুসূদনের লেখার জয়ধ্বনি করলেও মধুসূদন নিজে এই কাব্যের গুণাগুণ সম্পর্কে বন্ধু রাজনারায়ণের অভিমত চান। কারণ হাজার হাজার মানুষের প্রশংসার চেয়ে বন্ধু রাজনারায়ণ বসুর অভিমত তাঁর কাছে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। তাই মধুসূদন রাজনারায়ণ বসুকে লেখা পত্রে ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ এর সমালোচনা লিখে পাঠাতে আবেদন করেছেন।

২.৭ ‘এই কাব্য অদ্ভুতরকম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’ কোন কাব্যের কথা বলা হয়েছে? সে কাব্যের জনপ্রিয়তার কথা বলতে গিয়ে লেখক কোন কোন প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন?
উত্তর:-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘চিঠি’ পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ এর কথা বলা হয়েছে।

রাজনারায়ণ বসুকে লেখা মধুসূদন দত্তের চিঠি থেকে জানা যায় ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ প্রকাশিত হওয়ার পর ক্রমেই তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কেউ কেউ এই কাব্যকে মিলটনের চেয়ে উৎকৃষ্টতর বলেছেন। তবে মধুসূদন তা মানতে রাজি নন। তাঁর মতে মিলটনের উচ্চতা স্বৰ্গীয়। তবে তিনি নিজেকে ভার্জিল, কালিদাস বা তসো’র সাথে তুলনায় আপত্তি জানাননি। মধুসূদনের মতে হাজার হাজার মানুষ এই কাব্যের জয়ধ্বনি করেছেন। এমনকি অনেক হিন্দু নারী এই কাব্য পড়ে কেঁদেছেন এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল এই কাব্য।

২.৮ প্রিয় বন্ধুর প্রতি, সর্বোপরি সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগের যে পরিচয় রাজনারায়ণ বসুকে লেখা পত্রটিতে পাওয়া যায়, তা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর:-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘চিঠি’ পাঠ্যাংশে রাজনারায়ণ বসুকে লেখা চিঠিতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের বন্ধুর প্রতি, বিশেষত বন্ধুর সাহিত্যবোধের প্রতি গভীর অনুরাগ ও শ্রদ্ধার প্রকাশ লক্ষ করা যায়। মধুসূদন এই চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ এর ষষ্ঠ সর্গ লেখা শেষ করেছেন। ইতিমধ্যেই এই কাব্য অদ্ভুত রকমের জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ এটিকে মিলটনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ লেখা বললেও মধুসূদন নিজেকে মিলটনের সমতুল্য মানতে রাজি হননি। যদিও মধুসূদন নিজেকে ভার্জিল, কালিদাস, তসো’র সঙ্গে তুলনার বিরোধিতা করেননি। মধুসূদন হাজার হাজার সাধারণ মানুষের প্রশংসাকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করেননি। তিনি এই কাব্য প্ৰসঙ্গে রাজনারায়ণ বসুর সমালোচনাকে বেশি নির্ভরযোগ্য বলে মনে করেছেন। এভাবেই আলোচ্য চিঠিতে বন্ধুর প্রতি তথা সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগ ফুটে উঠেছে।

২.৯ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ৩ নভেম্বর ১৮৬৪খ্রিস্টাব্দে লেখা মধুসূদনের চিঠিটির বিষয়বস্তু সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর:-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ফ্রান্সের ভার্সাই শহর থেকে ৩ রা নভেম্বর ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে আলোচ্য চিঠিটি লেখেন। মধুসূদনের জীবনে নানা বাধা বিপদ থেকে বিদ্যাসাগর তাকে উদ্ধার করেছেন। মধুসূদন কৃতজ্ঞচিত্তে বিদ্যাসাগরের এই উপকারের কথা স্মরণ করেছেন। মধুসূদন নিজের বিষয় আসয় বিদ্যাসাগরকে তত্ত্বাবধানের আবেদন জানিয়েছেন যাতে তাকে আবার কোনো বিপদে পড়তে না হয়।

ফ্রান্সে তখনও শীতকাল না এলেও শরতের শীতেই মধুসূদনকে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হয়েছে। গায়ে দিতে হয়েছে গরম জামা। মধুসূদন বলেছেন ইউরোপের শরৎকালের শীত আমাদের দেশের সবচেয়ে ঠান্ডার মাসের সবচেয়ে ঠান্ডার দিনের চেয়ে ছয়গুন বেশি। এ প্রসঙ্গে তিনি ঈশ্বরচন্দ্রকে ভারতচন্দ্রের লেখা উদ্ধৃতি স্মরণ করিয়েছেন, –

“বাঘের বিক্রম সম মাঘের হিমানী।”

– ভার্সাইতে এসে মধুসূদন অলসভাবে দিন কাটাচ্ছেন তাও তিনি চিঠিতে জানাতে ভোলেননি। তিনি জানিয়েছেন মাইনে করা কোনো শিক্ষকের সহায়তা ছাড়াই তিনি ফ্রেঞ্চ ইটালিয়ান ভাষা প্রায় রপ্ত করে ফেলেছেন। এখন মন দিয়ে জার্মান ভাষার চর্চা করছেন।

২.১০ বিদ্যাসাগরকে লেখা পত্রটিতে মধুসূদনের জীবনে তাঁর ভূমিকার যে আভাস মেলে, তা বিশদভাবে আলোচনা করো।
উত্তর:-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ফ্রান্সের ভার্সাই শহর থেকে ৩ রা নভেম্বর ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে আলোচ্য চিঠিটি লেখেন। মধুসূদনের জীবনে নানা বাধা বিপদ থেকে বিদ্যাসাগর তাকে উদ্ধার করেছেন। মধুসূদন কৃতজ্ঞচিত্তে বিদ্যাসাগরের এই উপকারের কথা স্মরণ করেছেন। মধুসূদন নিজের বিষয় আসয় বিদ্যাসাগরকে তত্ত্বাবধানের আবেদন জানিয়েছেন যাতে তাকে আবার কোনো বিপদে পড়তে না হয়।

ফ্রান্সে তখনও শীতকাল না এলেও শরতের শীতেই মধুসূদনকে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হয়েছে। গায়ে দিতে হয়েছে গরম জামা। মধুসূদন বলেছেন ইউরোপের শরৎকালের শীত আমাদের দেশের সবচেয়ে ঠান্ডার মাসের সবচেয়ে ঠান্ডার দিনের চেয়ে ছয়গুন বেশি। এ প্রসঙ্গে তিনি ঈশ্বরচন্দ্রকে ভারতচন্দ্রের লেখা উদ্ধৃতি স্মরণ করিয়েছেন, –

“বাঘের বিক্রম সম মাঘের হিমানী। “

ভার্সাইতে এসে মধুসূদন অলসভাবে দিন কাটাচ্ছেন তাও তিনি চিঠিতে জানাতে ভোলেননি। তিনি জানিয়েছেন মাইনে করা কোনো শিক্ষকের সহায়তা ছাড়াই তিনি ফ্রেঞ্চ ইটালিয়ান ভাষা প্রায় রপ্ত করে ফেলেছেন। এখন মন দিয়ে জার্মান ভাষার চর্চা করছেন।

অর্থাৎ বিদ্যাসাগরকে লেখা মধুসূদনের এই চিঠি পড়ে স্পষ্ট বোঝা যায়, বিদ্যাসাগর শুধু তাঁর বন্ধুই ছিলেন না, ছিলেন উপদেষ্টা এবং অভিভাবকও। তাই এই চিঠিতে বিদ্যাসাগরের প্রতি মধুসূদনের নির্ভরশীলতা বারংবার প্রতিফলিত হয়েছে।

আরো পড়ুন

বোঝাপড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Bojhapora Question Answer | Class 8 | Wbbse

অদ্ভুত আতিথেয়তা প্রশ্ন উত্তর | Advut Atitheota Question Answer | Class 8 | Wbbse

বনভোজনের ব্যাপার প্রশ্ন উত্তর | নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় | Bonbhojoner Bapar Question Answer | Class 8 | Wbbse

চন্দ্রগুপ্ত নাটকের প্রশ্ন উত্তর | দ্বিজেন্দ্রলাল রায় | Chandragupta Question Answer | Class 8 | Wbbse

সবুজ জামা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | Sobuj Jama Question Answer | Class 8 | Wbbse

পরবাসী কবিতার প্রশ্ন উত্তর | বিষ্ণু দে | Porobasi Class 8 Question Answer | Wbbse

চিঠি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | মাইকেল মধুসূদন দত্ত | Chithi Class 8 Question Answer | Wbbse

একটি চড়ুই পাখি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | তারাপদ রায় | Ekti Chorui Pakhi Kobita Question Answer | Class 8 | Wbbse

পথচলতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় | Class 8 Bengali Pathchalti Question Answer | Wbbse

গাছের কথা প্রশ্ন উত্তর | জগদীশচন্দ্র বসু | Class 8 Bengali Gacher Kotha Question Answer | WBBSE

ছন্নছাড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর | অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত | Class 8 Bengali Channachara Question Answer | Wbbse

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment