প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 8 এর পরাজয় গল্পের প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের অষ্টম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা পরাজয় গল্প রয়েছে। গল্পের শেষে যে সব প্রশ্ন গুলি রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
পরাজয়
শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
হাতে কলমে প্রশ্ন উত্তর
১.১ শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বইয়ের নাম ‘দেরারি উপন্যাস’।
১.২ কলকাতার ফুটবল নিয়ে লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : কলকাতার ফুটবল নিয়ে লেখা তার দুটি বইয়ের নাম, ‘ক্লাবের নাম মোহনবাগান’ ও ‘ক্লাবের নাম ইস্টবেঙ্গল’।
২. নীচের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর একটি বাক্যে লেখো :
২.১ ‘এত দুঃখ এত ব্যথা সে কখনও পায়নি।’ – এখানে কার দুঃখ-বেদনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে রঞ্জনের দুঃখ – বেদনার কথা বলা হয়েছে।
২.২ ‘রঞ্জনদা তুমি কাল ক্লাবে যাওনি?’ – এই প্রশ্নের উত্তরে রঞ্জন কী বলেছিল?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে নেওয়া উদ্ধৃত প্রশ্নের উত্তরে রঞ্জন বলেছিল, – সে ক্লাবে যায়নি। কারণ, কাল সকালেই তাকে কলকাতার বাইরে যেতে হয়েছিল।
২.৩ গঙ্গার পাড়ে গিয়ে কোন দৃশ্য রঞ্জনের চোখে ভেসে উঠল?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্পে গঙ্গার পাড়ে গিয়ে রঞ্জনের চোখে ভেসে উঠলো, গঙ্গার ছোটো ছোটো ঢেউ, দূরে নোঙর করা কিছু ছোটো বড়ো জাহাজ, যাত্রীর জন্য অপেক্ষারত অনেকগুলি নৌকো প্রভৃতি।
২.৪ ‘সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পর রঞ্জনের মন অনেকটা শান্ত হলো।’ – এখানে রঞ্জনের কোন সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে বারপুজোর দিন ক্লাবে আমন্ত্রিত না হওয়ায় অপমানিত রঞ্জন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, দুটো দিন অপেক্ষা করে দেখবে ক্লাবের ডাক আসে কিনা। এর মধ্যে ক্লাবের কেউ যোগাযোগ করলে ভালো। নাহলে সে ক্লাব ছেড়ে দেবে। তবে খেলা ছাড়বে না। নিজেকে প্রমাণ করে দেবে সে ফুরিয়ে যায়নি।
২.৫ ‘ঘোষদা একটা বড়ো খবর আছে।’— কী সেই ‘বড়ো খবর’?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে স্বপনবাবু ঘোষদাকে যে ‘বড়ো খবর’টি দিয়েছিলেন তা হলো, বিপক্ষ ক্লাবের খ্যাতনামা ফুটবলার রঞ্জন সরকার তাদের ক্লাবে যোগ দিতে চায়।
২.৬ রঞ্জনের দলবদল করার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে টনক নড়েছিল ক্লাবকর্তাদের।’ কীভাবে ক্লাবকর্তাদের যে টনক নড়েছে, তা বোঝা গেল ?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্পে রঞ্জনের দলবদল করার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্লাব কর্তারা রঞ্জনের বাড়ি ছুটোছুটি শুরু করলেন। জনে জনে ফোন করতে আরম্ভ করলেন। রঞ্জন যেসব খেলোয়াড়দের ছোট ভাইয়ের মতো দেখতো, ভালবাসতো তাদের লাগানো হলো রঞ্জনের মত বদল করার জন্য। ক্লাব কর্তাদের এই সমস্ত আচরণই বুঝিয়ে দিল যে রঞ্জনের দলবদলে তাদের টনক নড়েছে।
২.৭ ‘ব্যাপারটা কী হলো বুঝতে একটু সময় লাগল সমর্থকদের।’ – এখানে কোন ব্যাপারটার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে রঞ্জনের ব্যাক ভলিতে করা গোলের ব্যাপারের কথা বলা হয়েছে। দর্শকদের এই ব্যাপারটা বুঝতে একটু সময় লেগেছিল।
২.৮ ‘দুহাতে মুখ ঢেকে শুয়ে পড়ল একটা বেঞ্চিতে।’ – স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকারের এমনভাবে শুয়ে পড়ার কারণ কী?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্পে পুরোনো ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও অপমানে, অবহেলায় ক্লাব ছেড়েছে রঞ্জন। অপমানের বদলা নিতে সেই ক্লাবের বিরুদ্ধেই গোল করেছে সে। তাই সবাই খুশি হলেও পুরোনো ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা ও অভিমানে কষ্ট তার চোখে জল এনেছে। একারণেই রঞ্জন দু হাতে মুখ ঢেকে শুয়ে পড়েছে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ একটু আগেও সবকটা কাগজে বারপুজোর রিপোর্ট পড়েছে। – এখানে ‘ও’ বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে? সে সবকটা কাগজে একই বিষয়ের রিপোর্ট পড়ল কেন?
উত্তর :
‘ও’ কে?:- শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে ‘ও’ বলতে ফুটবলার রঞ্জন সরকারের কথা বলা হয়েছে।
একই রিপোর্ট পড়ার কারণ কী?:- গত পনেরো বছর রঞ্জন যে ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলেছে,গায়ের রক্ত ঝরিয়েছে। সেই ক্লাবের বারপুজোয় রঞ্জনকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। তাই ক্রোধান্বিত ও অপমানিত রঞ্জন খবরের কাগজে বারপুজোর রিপোর্ট পড়ছিল । ওদের ক্লাবের অনুষ্ঠানে কে কে ছিল সেটাই ও দেখতে চেয়েছিল বেশি করে।
৩.২ ‘ওকে নিয়ে মাতামাতিটা ঠিক আগের মতো আর নেই।’ – আগে ‘ওকে’ নিয়ে কী ধরনের মাতামাতি হতো?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে প্রধান চরিত্র রঞ্জনের কথা বলা হয়েছে।
রঞ্জন যে ক্লাবের হয়ে গত পনেরো বছর ফুটবল খেলেছে । নববর্ষের দিন সকালে সেই ক্লাবের বার পুজোয় যাওয়ার জন্য তার কাছে প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি, ফুটবল সেক্রেটারি সবাই ফোন করতো। ফোনের পর ফোন আসতো। ক্লাবের সদস্যরা কেউ কেউ বাড়িতেও বলতে আসতেন। সকালে মাঠে যাবার জন্য গাড়ি এসে হাজির হত রঞ্জনের বাড়ি । রঞ্জন ও তৈরি থাকতো। গত পনেরো বছর ধরে এই রেওয়াজ’ই চলছিল। আগে রঞ্জন কে নিয়ে এভাবেই মাতামাতি হতো।
৩.৩ ‘ঠিক এক বছর আগের ঘটনা।’ — একবছর আগে কোন ঘটনা ঘটেছিল?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে।
ঠিক এক বছর আগে ফুটবল সেক্রেটারি আর কোচ এসে রঞ্জনের সঙ্গে দলগড়া নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কাকে কাকে এবার দলে আনা যায় তাই নিয়ে ওর পরামর্শ চেয়েছিলেন। ওদের সঙ্গে কথা বলার পর ওর মনের মধ্যে জমে ওঠা মেঘটা কেটে গিয়েছিল। সেই ঘটনার কথাই এখানে বলা হয়েছে।
৩.৪ ‘রঞ্জন সারাটা দিন আর বাড়ি থেকে বোরোয়নি।’ – কোন দিনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে পয়েলা বৈশাখে ক্লাবে বারপুজোর অনুষ্ঠানের দিনের কথা বলা হয়েছে।
পনেরো বছর যে ক্লাবের জন্য রঞ্জন রক্ত ঝরিয়ে খেলেছে। শত প্রলোভনে ভোলেনি, লক্ষ লক্ষ টাকার অফার, বিশাল চাকরির হাতছানি ফিরিয়ে দিয়েছে ক্লাবকে ভালোবেসে । সেই ক্লাব আজ তাকে অপমান করেছে । ক্লাবের বারপুজোয় একবারও তাকে ডাকার প্রয়োজন বোধ করেনি । তাই অপমানে, লজ্জায়, অভিমানে রঞ্জন সারাটা দিন বাড়ি থেকে বেরোয়নি।
৩.৫ ‘রঞ্জন নামগুলো পড়ার চেষ্টা করে।’ –রঞ্জন কোন নামগলি পড়ার চেষ্টা করে?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্পে অফিস থেকে বেরিয়ে রঞ্জন গঙ্গার ধারে যায়। সেখানে গাছের পাতায় ঝিরঝিরে হাওয়া। কানে ভেসে আসে পাখির ডাক। দেখে গঙ্গার জলের ছোটো ছোটো ঢেউ। দূরে নোঙর করা কটা ছোটো বড়ো জাহাজ। রঞ্জন সেই জাহাজের নাম গুলো পড়ার চেষ্টা করে l
৩.৬ ‘রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিলো।’ – কোন কথা শুনে রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিলো?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্পে নিজের ক্লাবে অপমানিত, অবহেলিত হয়ে রঞ্জন অন্য বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদাকে ফোন করে। রঞ্জন সরকার নিজের ক্লাব ছেড়ে তাদের ক্লাবে যোগদান করতে চায় একথা বুঝতে পারে অন্য ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদা। স্বপনদা আধ ঘন্টার মধ্যে রঞ্জনের বাড়ি পৌঁছে যাবে জানায়। এই কথা শুনেই রঞ্জন ফোন রেখে দেয়।
৩.৭ ‘সত্যি ওরা তোমার সঙ্গে উচিত কাজ করেনি!’ – কোন অনুচিত কাজের প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে।
রঞ্জন সরকার গত পনেরো বছর যে ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলে এসেছে। সেই ক্লাব পয়েলা বৈশাখের বারপুজোর অনুষ্ঠানে রঞ্জনকে ডাকেনি। যা রঞ্জনের কাছে অত্যন্ত অপমানের। অন্য ক্লাবের সেক্রেটারি রঞ্জনের প্রতি করা এই অনুচিত কাজের প্রতিই নির্দেশ করে বলেছেন, তারা রঞ্জনের সাথে ঠিক করেনি।
৩.৮ ‘মন স্থির করে ফেলেছ তো?” –উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কোন বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছে?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে। এখানে ফুটবলার রঞ্জন সরকারের মনস্থির করার কথা বলা হয়েছে।
দীর্ঘ পনেরো বছর রঞ্জন যে ক্লাবের হয়ে খেলে নিজের রক্ত ঝরিয়েছে। যে ক্লাবের জার্সিকে মায়ের মতো ভালোবেসেছে। যে ক্লাবকে ভালোবেসে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই ক্লাবে আজ সে অবহেলিত। বারপুজোয় তাকে ডাকা পর্যন্ত হয়নি। তাকে ইচ্ছে করে অপমান করার জন্যই এটা করা হয়েছে। তাই রঞ্জন মনস্থির করে ফেলেছে সে ক্লাব ছেড়ে দেবে। তবে খেলা ছাড়বে না। অন্য ক্লাবের হয়ে খেলে প্রমাণ করে দেবে সে ফুরিয়ে যায়নি।
৩.৯ ‘আপনি সব ব্যবস্থা করুন।’ – কোন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে। অন্য বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদাকে রঞ্জন একথা বলে।
দীর্ঘ পনেরো বছর রঞ্জন যে ক্লাবের হয়ে খেলে নিজের রক্ত ঝরিয়েছে। যে ক্লাবের জার্সিকে মায়ের মতো ভালো বেসেছে। সেই ক্লাব থেকে বারপুজোর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পেয়ে অপমানিত ও ক্ষুব্ধ রঞ্জন ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই যাতে শীঘ্রই নিজের ক্লাব ছেড়ে স্বপনদা’ দের ক্লাবের হয়ে খেলতে পারে সে বিষয়ে স্বপনদাকে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে রঞ্জন। রঞ্জন অন্য দলের হয়ে খেলে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিল সে ফুরিয়ে যায় নি।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৪.১ ‘রাগে ফুঁসছিল রঞ্জন। – তার এই রাগের কারণ কী ?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্পে স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকার গত পনেরো বছর ধরে যে ক্লাবের হয়ে খেলেছে, যে ক্লাবকে অনেক সম্মান এনে দিয়েছে। সেই ক্লাবের পয়লা বৈশাখের বারপুজোয় আজ তাকে ডাকা হয়নি। যা অত্যন্ত কষ্ট ও অপমানজনক ঘটনা। পরদিন সবকটা কাগজে বারপুজোর রিপোর্ট দেখছিল রঞ্জন। রিপোর্টগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ছিল। ওদের ক্লাবের অনুষ্ঠানে কে কে ছিল সেটাই ও দেখতে চেয়েছিল বেশি করে। এত বছর ধরে যে ক্লাবের হয়ে রক্ত ঝরালো রঞ্জন, সেই ক্লাব থেকেই এমন অকৃতজ্ঞ ও অমানবিক আচরণ রঞ্জন সহ্য করতে পারেনি। তাই রাগে ফুঁসছিল।
৪.২ ‘এত দুঃখ, এত ব্যথা সে কথাও পায়নি।’ – এই দুঃখ-যন্ত্রণার দিনে কীভাবে অতীতের সুন্দর দিনগুলির কথা রঞ্জনের মনে এসেছে?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্পে যে ক্লাবের হয়ে রঞ্জন গত পনেরো বছর ফুটবল খেলেছে। নিজেকে উৎসর্গ করেছে কেবল খেলার স্বার্থে। সেই ক্লাবে আজ বারপুজোয় রঞ্জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যা তার কাছে অত্যন্ত কষ্টের। এমতাবস্থায় রঞ্জন অতীতের দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেছে। যথা,
প্রত্যেক বছর ফোনের পর ফোন আসে। প্রেসিডেন্ট ফোন করেন, সেক্রেটারি ফোন করেন, ফুটবল সেক্রেটারি ফোন করেন। ক্লাবের বার পুজোয় যাবার জন্য বলতে বাড়িতেও আসেন কেউ কেউ। তারপর পয়লা বৈশাখ সাত সকালে মাঠে যাবার জন্য গাড়ি এসে হাজির হয়। রঞ্জনও চান-টান করে তৈরি থাকে। গাড়ি এলেই বেরিয়ে পড়ে। গত ১৫ বছর ধরে এই রেওয়াজ চলছিল।
৪.৩ রঞ্জনের ক্লাবের সঙ্গে তার পনেরো বছরের সম্পর্ক কীভাবে ছিন্ন হলো? এই বিচ্ছেদের জন্য কাকে তোমার দায়ী বলে মনে হয়?
উত্তর :
সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কারণ:- শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্পে যে ক্লাবের হয়ে রঞ্জন গত পনেরো বছর ফুটবল খেলেছে। নিজেকে উৎসর্গ করেছে কেবল খেলার স্বার্থে। সেই ক্লাবে আজ সে উপেক্ষিত। প্রতিবছর যেদিন তাকে আনার জন্য বাড়িতে গাড়ি পাঠানো হয় সেই পয়লা বৈশাখের বারপুজোয় তাকে আজ আমন্ত্রণ পর্যন্ত করা হয়নি। ক্লাবপ্রীতির আদর্শ নমুনা হিসেবে এতদিন রঞ্জনের নামই সকলে উল্লেখ করত। ক্লাবের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে একটু সম্মান, একটু ভালোবাসা, একটু আন্তরিকতা পাওয়ার জন্য অন্য ক্লাবের লক্ষ লক্ষ টাকা, বিশাল চাকরির অফার সে প্রত্যাখ্যান করেছে। যে ক্লাবের জার্সিকে রঞ্জন মায়ের মতো ভালোবেসেছে। সেই ক্লাবের কর্তারা আজ তাকে উপেক্ষা করে নতুন ছেলেদের নিয়ে মাতামাতি করছে। ক্লাব কর্তারা যেন হাবভাবে বঝিয়ে দিতে চায় রঞ্জনকে তাদের আর প্রয়োজন নেই। এই অপমান, মানসিক যন্ত্রণা থেকেই রঞ্জনের ক্লাবের সঙ্গে তার পনেরো বছরের সম্পর্ক ছিন্ন হয়।
কে দায়ী:– এই বিচ্ছেদের জন্য আমার ক্লাব কর্তৃপক্ষকে দায়ী মনে হয়েছে। এতদিন যে ক্লাবের হয়ে খেলে রঞ্জন ক্লাবকে এত পুরস্কার, এত সম্মান এনে দিয়েছে। সেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ আজ অকৃতজ্ঞের মতো আচরণ করেছে। তারা চাইলে রঞ্জনের সাথে আলোচনায় বসতে পারতো। কিন্ত তারা রঞ্জনকে না জানিয়ে হঠাৎ তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তাকে ইচ্ছে করে অপমান করতে চেয়েছে। সঠিক কোনো কারণ না দেখিয়ে রঞ্জনের সাথে এমন আচরণ করা মোটেই গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে আমি মনে করি।
৪.৪ ‘কী করবে ও ঠিক করে ফেলেছে।’ – এখানে কার কথা বলা হয়েছে? সে কী ঠিক করে ফেলেছে? তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে পরবর্তী সময়ে চলতে পারল কি?
উত্তর :
কে, কী ঠিক করে ফেলেছে?:- শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে গল্পের প্রধান চরিত্র রঞ্জনের কথা বলা হয়েছে।
ক্লাবের বারপুজোয় রঞ্জনকে আমন্ত্রণ না করে ক্লাবের কর্তারা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে রঞ্জনকে তাদের আর দরকার নেই। নিজের ক্লাবকে জীবন দিয়ে ভালোবাসলেও এই অপমান রঞ্জন সহ্য করতে পারে না। তাই রঞ্জন ঠিক করে, দুটো দিন ও অপেক্ষা করবে। এর মধ্যে ক্লাবের কেউ যদি যোগাযোগ করে তাহলে ভালো, না হলে সে ক্লাব ছেড়ে দেবে। তবে খেলা ছাড়বে না। অন্য ক্লাবের হয়ে খেলে রঞ্জন অপমানের বদলা নেবে এবং প্রমাণ করে দেবে সে ফুরিয়ে যায়নি।
পরবর্তী ঘটনা:- হ্যাঁ, রঞ্জন পরবর্তীতে নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতে পেরেছে। দুদিন সে মনের কষ্টে অনেক ছটফট করে, তৃতীয় দিন রাতে এক বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারিকে ফোন করে সব জানায়। এরপর সে দলবদল করে। নতুন ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত খেলা শুরু করে সে। গোলের পর গোল করতে থাকে। নিজেকে প্রমাণ করে রঞ্জন। গল্পের শেষে দেখা যায় যে ক্লাবের হয়ে গত পনেরো বছর খেলেছে রঞ্জন সেই ক্লাবকেই এক গোলে হারিয়ে সে অপমানের প্রতিশোধ নেয়। তবে ক্লাবের প্রতি আন্তরিক টানে সে কেঁদে ওঠে।
৪.৫ ‘তৃতীয় দিন রাত্তিরে টেলিফোন করল অন্য বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারিকে।’ – কোন দিন থেকে ‘তৃতীয় দিন’-এর কথা বলা হয়েছে? এই দিন তিনেক সময় তার কীভাবে কেটেছে? টেলিফোনটি করায় কোন পরিস্থিতি তৈরি হলো?
উত্তর :
কোন দিন থেকে তিন দিন?:- শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্প থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে পয়লা বৈশাখে ক্লাবের বারপুজোর দিন থেকে পরবর্তী তৃতীয় দিনের কথা বলা হয়েছে।
কীভাবে সময় কাটল?:- ক্লাব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরের দুটো দিন রঞ্জন মানসিক যন্ত্রণায় ছটফট করে। অফিস ছাড়া আর কোথাও যায় না, কারও সঙ্গে ভালোভাবে কথা পর্যন্ত বলে না। অফিসের সহকর্মীরা তার গম্ভীর ভাব দেখে তাকে কিছু বলার সাহস পায় না। জীবনে প্রথম দুদিন দশটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত পুরো সময় অফিস করে রঞ্জন। অফিস শেষে পুরো সময় বাড়িতে কাটায়। ওর চোখমুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল প্রচণ্ড টেনশনের মধ্যে আছে। তৃতীয় দিন সে নিজের সঙ্গে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
টেলিফোনে কোন পরিস্থিতি তৈরি হলো?:– যে ক্লাব থেকে আগে অনেকবার রঞ্জনকে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রলোভন দেখানো হয়েছে কিন্তু নিজের ক্লাবের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে রঞ্জন প্রলোভন প্রত্যাখ্যান করেছে। আজ ঘটনাচক্রে সেই বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদাকে রঞ্জন নিজে থেকে ফোন করে। স্বপনদা আধঘণ্টার মধ্যে রঞ্জনের বাড়ি উপস্থিত হয়। রঞ্জন সব ঘটনা জানায় এবং তাদের ক্লাবে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে। স্বপনদা ঘোষদাকে রঞ্জনের সাথে কথা দেয়। ঘটনাচক্রে দেখা যায় অত্যন্ত আনন্দের সাথে স্বপনদাদের ক্লাব রঞ্জনকে দলে নিয়ে নেয়।
৪.৬ ‘দুই প্রধানের লড়াইকে কেন্দ্র করে অনেক বছর পরে কলকাতা আবার মেতে উঠেছে।’ – গল্প অনুসরণে সেই লড়াইয়ের উত্তেজনাপূর্ণ ফুটবল ম্যাচের বিবরণ দাও।
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্পে দুই প্রধানের লড়াইকে কেন্দ্র করে এক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যথা,
সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লক্ষ লোকের সামনে দুরন্ত গতিতে চলছিল ম্যাচ। রঞ্জনকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল তার পুরনো দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। মাত্র একজনকে সামনে রেখে বাকি দশজনকে ওরা নীচে নামিয়ে এনেছিল। দশজনের সঙ্গে একা লড়ছিল রঞ্জন। সহ খেলোয়াড়দের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাচ্ছিলনা রঞ্জন। এভাবেই শেষ হয় প্রথম অর্ধের খেলা। দ্বিতীয় অর্ধে আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে খেলা আরও জমে ওঠে। কিন্তু গোল কেউ করতে পারে না। অবশেষে সমরের হেড দেওয়া বলে ব্যাক ভলি করে গোল দিয়ে দেয় রঞ্জন। তারপর সারা মাঠ ফেটে পড়ে উল্লাসে।
৪.৭ ‘বলটা বুলেটের মতো ছুটে গিয়ে ঢুকে গেল গোলে।’— এরপর সমর্থক আর সহ-খেলোয়াড়দের উল্লাসের বিপ্রতীপে রঞ্জনের বিষণ্নতার কোন রূপ গল্পে ফুটে উঠেছে?
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্পে রঞ্জনের ব্যাক ভলি দেওয়া বল বুলেটের মতো ছুটে গিয়ে ঢুকে যায় বিপক্ষ দলের গোলে। নিজের পুরোনো দলকে হারিয়ে সব অপমান, অবহেলার বদলা নেয় রঞ্জন। সারা মাঠ ফেটে পড়ে উল্লাসে। দলের খেলোয়াড়রা তখন রঞ্জনকে নিয়ে মেতে ওঠে । আর যুবভারতীর গ্যালারি বাজি আর পটকার শব্দে গমগম করে ওঠে। এত কিছুর মাঝেও রঞ্জনের মনের অবস্থা তখন সম্পূর্ণ বিপরীত। সে মাথা নীচু করে সাজঘরে ঢুকে এক কোণে একটা চেয়ারে বসে পড়ে। তার একটুও আনন্দ হয় না। কী রকম যেন একটা কষ্ট, একটা চাপা বেদনা ওকে ধীরে ধীরে আচ্ছন্ন করে ফেলে। এই হইচই, এই উল্লাস, এই অভিনন্দন ওর ভালো লাগেনা। রঞ্জন স্বপনদাকে বলে পাশের ঘরে চলে যায়। দুহাতে মুখ ঢেকে শুয়ে পড়ে একটা বেঞ্চিতে। রঞ্জন অবাক হয়ে অনুভব করে ওর দুচোখ দিয়ে অঝরে জল ঝরছে। পনেরো বছরের সম্পর্ক ত্যাগ করে আজ সে এ ক্লাবে এলেও সব অপমান, সব অবহেলার বদলা নেবার মুহূর্তে রঞ্জন হেরে যায় নিজের কাছে। নিজেকে সামলাতে না পেরে অঝোরে কান্না করতে থাকে। কণ্ঠার কাছে দলা পাকিয়ে থাকা কষ্টটা চোখের জলে হালকা হতে থাকে।
৪.৮ গল্পের ঘটনা বিশ্লেষণ করে ‘পরাজয়’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা প্রতিপন্ন করো।
উত্তর : শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ গল্পের প্রধান চরিত্র ফুটবলার রঞ্জন সরকারকে নিয়ে গল্পের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে। গল্প পাঠে জানা যায়, যে ক্লাবের হয়ে রঞ্জন গত পনেরো বছর ফুটবল খেলেছে। নিজেকে উৎসর্গ করেছে কেবল খেলার স্বার্থে। অন্য ক্লাবের দেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা, চাকরির অফার হেলায় প্রত্যাখ্যান করেছে। শুধু নিজের ক্লাবের প্রতি আনুগত্য দেখানোর জন্য অল্প টাকায় খেলেছে। সে শুধু চেয়েছে একটু সম্মান, একটু ভালবাসা, একটু আন্তরিকতা। ঘটনাচক্রে সেই ক্লাবের কর্তারা রঞ্জনের সঙ্গে খুবই অপমানজনক ব্যবহার করে এবং অকৃতজ্ঞের মতো আচরণ করে। ক্লাবের বার পুজোয় অকৃতজ্ঞের মতো আচরণ করে। ক্লাবের বার পুজোয় রঞ্জনকে আমন্ত্রণ পর্যন্ত জানানো হয় না। রঞ্জনকে অপমান করে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাদের আর রঞ্জনকে প্রয়োজন নেই। এই অপমানের বদলা নিতে রঞ্জন অন্য এক বড়ো ক্লাবে যোগদান করে ভালো খেলে নিজেকে প্রমাণ করে। পরবর্তীতে নিজেরই পুরনো দলের বিপক্ষে গোল দিয়ে তাদের হারায়। তবে ১৫ বছরের সম্পর্ক ত্যাগ করে আজ সে এ ক্লাবে এলেও, সব অপমান, সব অবহেলার বদলা নিলেও রঞ্জন খুশি হতে পারে না। সে অঝোরে কান্না করে।
যে ক্লাবকে সে মায়ের মতো ভালোবাসতো সেই ক্লাবেরই বিরুদ্ধে গোল দিয়ে জিতলেও রঞ্জন যেন নিজের কাছেই হেরে গিয়েছিল। তার কণ্ঠার কাছে দলা পাকিয়ে থাকা কষ্টটা চোখের জলে ভাসতে থাকে। তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় ‘পরাজয়’ গল্পের নামকরণ যথার্থ ও সার্থক হয়েছে।
শব্দার্থ : অবাঞ্ছিত – অকাম্য/চাওয়া হয়নি এমন। জল্পনা-কল্পনা — অনুমান/আলোচনা। অভিনন্দন — আনন্দের সঙ্গে গৌরবের স্বীকৃতি জানানো।
৫. নীচের শব্দগুলির ধ্বনিতাত্ত্বিক বিচার করো :
চরকি, সক্কাল, নেমন্তন্ন, নম্বর, ছুটোছুটি
উত্তর : চরকি = চক্র > চক্কোর > চরকি (বর্ণ বিপর্যয়)।
সক্কাল = সকাল > সক্কাল (ব্যঞ্জনাগম)।
নেমন্তন্ন = নিমন্ত্রণ > নেমন্তন্ন (সমীভবন)।
নম্বর = নাম্বার > নম্বর (স্বরলোপ)।
ছুটোছুটি = ছোটাছুটি > ছুটোছুটি (স্বরসংগতি)।
৬.নীচের বাক্যগুলি থেকে সন্ধিবদ্ধপদ খুঁজে নিয়ে সন্ধিবিচ্ছেদ করো :
৬.১ ওর মনের মধ্যে জমে ওঠা দুঃখ আর অভিমান রূপান্তরিত হয়েছিল রাগে।
উত্তর : রূপান্তরিত = রূপ + অন্তরিত।
৬.২ ক্লাবের কর্তাদের হাবভাব দেখে সে পরিষ্কার বুঝতে পেরেছে।
উত্তর : পরিষ্কার = পরিঃ + কার।
৬.৩ কেউ একটা টেলিফোন পর্যন্ত করল না ।
উত্তর : পর্যন্ত = পরি + অন্ত।
৬.৪ তার পুরস্কার এতদিনে পেলাম স্বপনদা।
উত্তর : পুরস্কার = পুরঃ + কার।
৬.৫ ওরা যা দিয়েছে তাতেই সন্তুষ্ট ছিলাম।
উত্তর : সন্তুষ্ট = সম + তুষ্ট।
৭. নিম্নরেখাঙ্কিত অংশের কারক বিভক্তি নির্দেশ করো :
৭.১ রঞ্জন ঘরের মধ্যে চরকির মতো ঘুরছে।
উত্তর : কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৭.২ গাড়ি পাঠানো তো দুরের কথা।
উত্তর : কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৭.৩ সারাটা সকাল ও ছটফট করে বেড়িয়েছিল।
উত্তর : অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তি।
৭.৪ কানে ভেসে আসে পাখির ডাক।
উত্তর : সম্বন্ধপদে ‘র’ বিভক্তি।
৭.৫ রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিল।
উত্তর : টেলিফোনটা – কর্মকারকে ‘টা’ নির্দেশক।
৮. নীচের বাক্যগুলির ক্রিয়ার কাল নির্দেশ করো :
৮.১ গুরুত্ব দেয়নি।
উত্তর : সাধারণ অতীত কাল।
৮.২ তুই চলে আয়।
উত্তর : বর্তমান কাল।
৮.৩ কাল সকালে আমায় কলকাতার বাইরে যেতে হয়েছিল।
উত্তর : পুরাঘটিত অতীত কাল।
৮.৪ আমি রঞ্জন সরকার বলছি।
উত্তর : ঘটমান বর্তমান কাল।
৮.৫ রঞ্জনের মুখে খেলে গেল ম্লান হাসি।
উত্তর : পুরাঘটিত অতীত কাল।
৯. নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করো :
৯.১ এত দুঃখ, এত ব্যথা সে কখনও পায়নি। (হ্যাঁ-সূচক বাক্যে )
উত্তর : এত দুঃখ, এত ব্যথা সে এবারই পেল।
৯.২ সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পর রঞ্জনের মন অনেকটা শান্ত হলো। (জটিল বাক্যে)
উত্তর : যখন রঞ্জন সিদ্ধান্তটা নিল তখন তার মন অনেকটা শান্ত হল।
৯.৩ সেই মুহূর্তে কলিংবেলটা বেজে উঠল। (যৌগিক বাক্যে)
উত্তর : সেই মুহূর্তটি এল এবং কলিংবেলটা বেজে উঠল।
৯.৪ রঞ্জনের গলাটা একটু কেঁপে উঠল। (না-সূচক বাক্যে
উত্তর : রঞ্জনের গলাটা একটু না-ফেঁপে থাকল না।
৯.৫ যারা এতক্ষণ দেয়াল পিঠ দিয়ে লড়ছিল তারাই এখন রুখে দাঁড়াল। (সরল বাক্যে)
উত্তর : এতক্ষণ দেয়ালে পিঠ দিয়ে লড়তে থাকা খেলোয়াড়রাই এখন রুখে দাঁড়াল।
আরো পড়ুন
বোঝাপড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Bojhapora Question Answer | Class 8 | Wbbse
অদ্ভুত আতিথেয়তা প্রশ্ন উত্তর | Advut Atitheota Question Answer | Class 8 | Wbbse
পরবাসী কবিতার প্রশ্ন উত্তর | বিষ্ণু দে | Porobasi Class 8 Question Answer | Wbbse
চিঠি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | মাইকেল মধুসূদন দত্ত | Chithi Class 8 Question Answer | Wbbse
গাছের কথা প্রশ্ন উত্তর | জগদীশচন্দ্র বসু | Class 8 Bengali Gacher Kotha Question Answer | WBBSE
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।