দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করাে। 

দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করাে।     4 Marks/Class 10

উত্তর:-

ভূমিকা : ভারতের ভৌগােলিক অখণ্ডতা, জাতীয় ঐক এবং প্রগতি ও পুনর্নির্মাণের জন্য দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণ করা হয়। ভারতের ‘লৌহ মানব’ রূপে পরিচিত সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ছিলেন ভারতের একতার মূল কাণ্ডারি। 

প্রক্রিয়া : সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণে যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা হল— 

১. সংযুক্তিকরণ : বেশ কিছু দেশীয় রাজ্যকে পার্শ্ববর্তী ভারতীয় প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় উড়িষ্যা ও মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি, বােম্বাইয়ের সঙ্গে দাক্ষিণাত্য ও গুজরাটের রাজ্যগুলি, আবার উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে গাড়ােয়াল, রামপুর ও বেনারস, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে কুচবিহার, আসামের সঙ্গে খাসি পার্বত্য অঞলকে, মাদ্রাজের রাজ্যগুলিকে মাদ্রাজের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। 

২. বৃহৎ যুক্তরাজ্য গঠন : দেশীয় রাজ্যগুলির বেশ কয়েকটি রাজ্যকে সংযুক্ত করে এক একটি বৃহৎ যুক্তরাজ্য গ্রহণ করা হয়, যেমন— রাজস্থানের যুক্তরাজ্য, পাঞ্জাবের যুক্তরাজ্য, বিন্ধ্যপ্রদেশের যুক্তরাজ্য প্রভৃতি।

সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল 

৩. কেন্দ্রীয় শাসনাধীন : বেশ কিছু রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকার শাসিত এলাকার সঙ্গে যুক্ত করা হয় বা কেন্দ্রীয় শাসনাধীনে আনা হয়। হিমাচলপ্রদেশ, কচ্ছ, বিলাসপুর, ভােপাল, ত্রিপুরা ও মণিপুরকে কেন্দ্রীয় শাসনাধীনে আনা হয়।

উপসংহার : সামগ্রিকভাবে পর্যালােচনা করে দেখা যায় যে, ২১৬টি দেশীয় রাজ্যকে পার্শ্ববর্তী প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়, ২৭৫টি দেশীয় রাজ্যকে পাঁচটি রাজ্যে পরিণত করা হয় এবং ৬১টি রাজ্যকে সাতটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের সঙ্গে যােগ করে কেন্দ্রীয় শাসনাধীনে আনা হয়।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment