উত্তর: নানা উপাদানের উপর ভিত্তি করে আধুনিক ইতিহাস রচনা করা হয়। এই উপাদানগুলির মধ্যে লিখিত উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব তাৎপর্যপূর্ণ। আর এই স্মৃতিকথার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘জীবনস্মৃতি’ র অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
জীবনস্মৃতি : ১৩৩৯ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। তৎকালিন সময়ের নানা কথা গ্রন্থটিতে উল্লেখিত হয়েছে। এই গ্রন্থটিতে ৪৪টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখিত হয়েছে।
গুরুত্ব :স্মৃতিকথারূপে ‘জীবনস্মৃতি’র গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ১) এই গ্রন্থ থেকে রবীন্দ্রনাথের শৈশব শিক্ষা ও তৎকালিন বাংলা তথা ভারতের শিক্ষার চিত্র পাওয়া যায়। ২) ঠাকুর বাড়ির ধর্মীয় চিত্র, পারিবারিক ঐতিহ্য ও সাহিত্যচর্চার কথা জানা যায়। ৩) হিন্দুমেলা, চিত্রকলা, তৎকালিন বাঙালি তথা ভারতীয়দের খাদ্যাভ্যাস, পােষাক-পরিচ্ছদ, শিক্ষা-সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। ৪) বঙ্গভঙ্গ, স্বদেশী আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, ঠাকুর পরিবারের স্বাদেশিকতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
Read Also
নারী ইতিহাস চর্চার উপর সংক্ষিপ্ত টীকা রচনা করাে ?
আধুনিক ইতিহাস চর্চার উপাদানগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও?
আধুনিক ইতিহাসের উপাদানরূপে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব লেখাে?
ইতিহাসের উপাদান হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনস্মৃতির অবদান?
আধুনিক ভারত ইতিহাসের উপাদানরূপে বিপিনচন্দ্র পালের ‘সত্তর বৎসর’-এর গুরুত্ব আলােচনা করাে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।