হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | হীরেন্দ্রনাথ দত্ত | Haricharan Bandopadhayaya Question Answer | Class 8 | Wbbse

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 8 এর হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের অষ্টম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে হীরেন্দ্রনাথ দত্তের লেখা হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় গল্প রয়েছে। সেই গল্পের শেষে যে সব প্রশ্ন গুলি রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়

হীরেন্দ্রনাথ দত্ত


হাতে কলমে

১.১ হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত দুটি বই-এর নাম লেখো।
উত্তর:
হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত দুটি বই-এর নাম, ‘অচেনা রবীন্দ্রনাথ’ ও ‘সাহিত্যের আড্ডা’।

১.২ কোন নামে তিনি সমধিক পরিচিত?
উত্তর:
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ইন্দ্ৰজিৎ’ নামে সমধিক পরিচিত।

২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:

২.১ শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে প্রথম যুগে যাঁরা রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে বিদ্যালয়ের কাজে এসে যোগ দিয়েছিলেন, এমন কয়েকজনের কথা আলোচনা করো।
উত্তর:
হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ নামক পাঠ্যাংশে জানা যায়, শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের প্রথম যুগে অনেকেই রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে বিদ্যালয়ের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধুশেখর শাস্ত্রী, ক্ষিতিমোহন সেন, মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী প্রমুখ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় :- হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এক জমিদারি মহল্লায় আমিনের সেরেস্তায় নিযুক্ত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সংস্কৃতের পাণ্ডিত্য দেখে তাঁকে শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে নিযুক্ত করেন। কর্মনিষ্ঠার দ্বারা অল্পকালের মধ্যেই হরিচরণবাবু রবীন্দ্রনাথের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেন। বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে তিনি ‘সংস্কৃত প্রবেশ’ নামে একটি পুস্তক রচনায় নিযুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথের নির্দেশে তিনি ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ নামে বৃহৎ অভিধান গ্রন্থ রচনা করেন।

মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী:- মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্ৰ নন্দী একজন বিদ্যোৎসাহী ছিলেন। অভিধান রচনাকারের সহায়তার উদ্দেশ্যে তিনি হরিচরণবাবুর জন্য মাসিক ৫০ টাকার একটি বৃত্তি ধার্য করেন। ১৩১৮ সাল থেকে অভিধান সংকলন কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত ১৩ বছর হরিচরণবাবু এই বৃত্তি ভোগ করেছেন।

বিধুশেখর শাস্ত্রী:- বিধুশেখর শাস্ত্রী ইংরেজি ভাষায় অনভিজ্ঞ একজন টোলের পণ্ডিত ছিলেন। তবুও রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতনের সংস্পর্শে এসে সেই মানুষ কালক্রমে বহুভাষাবিদ পণ্ডিতে পরিণত হন।

ক্ষিতিমোহন সেন:- ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত। তিনি মধ্যযুগীয় সাধু-সন্তদের বাণী সংগ্রহ করে ভারতীয় জীবন সাধনার বিস্মৃতপ্রায় এক অধ্যায়কে পুনরুজ্জীবিত করেন।

-পরিশেষে বলা যায় শান্তিনিকেতনের ইতিহাসে এই সমস্ত মানুষের নাম আজীবন স্বর্ণ অক্ষরে লেখা থাকবে।

২.২ ‘এর কৃতিত্ব অনেকাংশে শান্তিনিকেতনের প্রাপ্য…’ – কোন কৃতিত্বের কথা বলা হয়েছে? তার বহুলাংশ ‘শান্তিনিকেতনের প্রাপ্য’ বলে লেখক মনে করেছেন কেন?
উত্তর:
হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ নামক পাঠ্যাংশ থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে।

শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের প্রথম যুগে যাঁরা রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে বিদ্যালয়ের কাজে এসে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা সকলেই যে অসাধারণ ব্যক্তি ছিলেন তেমন নয়। বিদ্যায়, বুদ্ধিতে তাঁদের অনেকেরই সমকক্ষ ব্যক্তি আমাদের দেশে ছিল। অথচ নিজ ক্ষেত্রে এঁরা অনেকেই অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। এমন সব কার্যভার নিজেরা গ্রহণ করেছেন যা আজকের সাংসারিক বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিরা হঠকারিতা বলে মনে করবেন। তাঁরা আপন সাধ্যসীমা ভুলে গিয়ে সাধ্যাতীতের স্বপ্ন দেখেছেন এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তব করেছেন। তাঁদের এই সুবৃহৎ কাজে বিদ্যার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল নিষ্ঠা এবং অভিনিবেশ। এই গুণগুলির সমন্বয়ে তাঁরা সাধারণ হয়েও অসাধারণ কার্য সম্পাদন করতে সম্ভব হয়েছিলেন। তাঁদের সেই কৃতিত্বের কথাই এখানে বলা হয়েছে।

শান্তিনিকেতনের কাজে যোগ দেওয়া এই সাধারন মানুষগুলির অসাধারণ কৃতিত্বের পিছনে শান্তিনিকেতনের বড়ো অবদান রয়েছে। শান্তিনিকেতন এদেরকে নিজ হতে তৈরি করেছে। শান্তিনিকেতনের স্থান- মাহাত্ম্যের গুণে তাঁদের চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটেছে। শান্তিনিকেতন তাঁদের শিখিয়েছে বিদ্যালয় কেবলমাত্র বিদ্যাদানের স্থান নয়, বিদ্যাচর্চার স্থান। শুধু বিদ্যাচর্চা নয়, বিদ্যা বিকিরণের স্থান। রবীন্দ্রনাথও নিজের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন শান্তিনিকেতনের সেবায়। যেহেতু শান্তিনিকেতনের সংস্পর্শে এসেই এই মানুষগুলি সাধারণের গণ্ডি অতিক্রম করে নিজ গুণে অসাধারণ কার্যসম্পাদন করেছিলেন। তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, তাঁদের এই কৃতিত্ব অনেকাংশেই শান্তি নিকেতনের প্রাপ্য।

২.৩ ‘আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে শান্তিনিকেতনের দান অপরিসীম।’ – লেখক এ প্রসঙ্গে শান্তিনিকেতনের কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ অবদানের উল্লেখ করেছেন?
উত্তর:
হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ নামক পাঠ্যাংশে লেখক শিক্ষাক্ষেত্রে শান্তিনিকেতনের যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের উল্লেখ গুলো করেছেন তা হলো,-

ক) শান্তিনিকেতনই দেশকে প্রথম শিখিয়েছে যে বিদ্যালয় কেবলমাত্র বিদ্যাদানের স্থান নয়, বিদ্যাচর্চার স্থান; শুধু বিদ্যাচর্চা নয়, বিদ্যা বিকিরণের স্থান।

খ) শান্তিনিকেতন শিখিয়েছে, বিদ্যার্জনের পথ সুগম করে দেওয়া বিদ্যাকেন্দ্রের অন্যতম প্রধান কর্তব্য।

গ) তখনকার সময় আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও যেসব কথা ভাবেনি শান্তিনিকেতন বিদ্যালয় তার শৈশবেই সেসব কথা ভেবেছে এবং সে জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে।

ঘ) শান্তিনিকেতনের স্থান-মাহাত্ম্যের গুণেই বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিতে আসা সাধারণ মানুষেরাও হয়ে উঠেছে অসাধারণ।

– উপরে উক্ত বিভিন্ন অবদানগুলির কারণেই শান্তিনিকেতন হয়ে উঠেছে শিক্ষাক্ষেত্রের এক অন্যতম প্রাণকেন্দ্র।

২.৪ ‘আপাতদৃষ্টিতে যে মানুষ সাধারণ তাঁরই প্রচ্ছন্ন সম্ভাবনা রবীন্দ্রনাথের সর্বদর্শী দৃষ্টিতে এড়াতে পারেনি।’ – লেখক এ প্রসঙ্গে কাদের কথা স্মরণ করেছেন? জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চায় তাঁদের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করো।
উত্তর:
হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ নামক প্রবন্ধ থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে। লেখক এ প্রসঙ্গে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধুশেখর শাস্ত্রী, ক্ষিতিমোহন সেন প্রমুখের কথা স্মরণ করেছেন।

জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চায় এদের অবদান অসামান্য। যেমন, –

হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়:- জমিদারি সেরেস্তার কর্মচারী হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ করেন। রবীন্দ্রনাথের নির্দেশে তিনি সুবৃহৎ অভিধান ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ রচনা করেন।

বিধুশেখর শাস্ত্রী:- বিধুশেখর শাস্ত্রী ছিলেন একজন ইংরেজি ভাষায় অনভিজ্ঞ টোলের পণ্ডিত। সেই মানুষ বিশ্বভারতীতে এসে কালক্রমে বহু ভাষাবিদ পণ্ডিতে পরিণত হন। হয়ে ওঠেন ভারতীয় পণ্ডিত সমাজে সর্বাগ্রগণ্যদের অন্যতম।

ক্ষিতিমোহন সেন:- ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত। মধ্যযুগীয় সাধু-সন্তদের বাণী সংগ্রহ করে তিনি ভারতীয় জীবন সাধনার বিস্মৃতপ্রায় এক অধ্যায়কে পুনরুজ্জীবিত করেন।

-পরিশেষে বলা যায় সাধারণ মানুষদের এই অসাধারণ হয়ে ওঠার পিছনে রবীন্দ্রনাথের অবদান পরিশেষে বলা যায় সাধারণ মানুষদের এই অসাধারণ হয়ে ওঠার পিছনে রবীন্দ্রনাথের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি যেন সমুদ্রের তলা থেকে সঠিক ঝিনুক খুঁজে এনেছেন। যা থেকে আমরা পেয়েছি জ্ঞানের মুক্তো।

২.৫ ‘এঁরা প্রাণপণে সেই দাবি পূরণ করেছেন।’ – কাদের কথা বলা হয়েছে? কীই বা সেই দাবি? সেই দাবিপূরণে প্রাণপণে তাঁদের নিয়োজিত হওয়ারই বা কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর:

কাদের কথা বলা হয়েছে?:-হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ নামক প্রবন্ধ থেকে নেওয়া আলোচ্য উদ্ধৃতিতে রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে প্রথম যুগে যাঁরা কাজে যোগ দিতে এসেছিলেন তাঁদের কথা বলা হয়েছে। এদের মধ্যে ছিলেন হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধুশেখর শাস্ত্রী, ক্ষিতিমোহন সেন প্রমুখ।

কোন দাবি?:- রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের উন্নতির লক্ষ্যে, সেবায় নিজের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন। শান্তিনিকেতনের প্রথম যুগে রবীন্দ্রনাথের অধ্যাপক নির্বাচন অনেকটা যেন শেক্সপিয়রের প্লট নির্বাচনের মতো। আপাতদৃষ্টিতে যে মানুষ সাধারণ তারও প্রচ্ছন্ন সম্ভাবনা রবীন্দ্রনাথের সর্বদশা দৃষ্টিকে এড়াতে পারেনি। তাই রবীন্দ্রনাথ যাঁদের শান্তিনিকেতনের কাজে আহ্বান করেছিলেন তাঁদের কাছ থেকে নিঃসংকোচে সর্বশক্তি নিয়োগের দাবি করতে পেরেছিলেন। যাতে শান্তিনিকেতন শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য হয়ে উঠতে পারে।

দাবি পূরণের প্রাণপণে চেষ্টার কারণ:- শান্তি নিকেতন বিদ্যালয়ের প্রথম যুগে যাঁরা রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে বিদ্যালয়ের কাজে এসে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা সকলেই যে অসাধারণ ব্যক্তি ছিলেন এমন নয়। এদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন সাধারণ। তবে সাধারণের মধ্যে থেকেও এঁরা অনেকেই অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ যেহেতু শান্তিনিকেতনের উন্নতির লক্ষ্যে তাঁদের কাছে নিঃসংকোচে সর্বশক্তি নিয়োগের দাবি করেছিলেন, তাই তাঁরা নিজেদের প্রমাণ করার কোনো ঘাটতি রাখেননি। তাঁরা নিজেদের নিষ্ঠা, অভিনিবেশ, বিদ্যাবুদ্ধির দ্বারা অসাধারণ কার্যসম্পাদন করেছে। মাস মাহিনার চাকুরে দ্বারা যে জাতীয় কাজ কখনোই সম্ভব নয়। এই সমস্ত কিছুই সম্ভব হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের অনুপ্রেরণায়। তিনি দাবি করেছেন এবং এঁরা প্রাণপণের সেই দাবি পূরণ করেছে। দাবি পূরণ করতে গিয়ে এঁদের শক্তি দিনে বলেই দিনে বিকাশ লাভ করেছে। ক্ষিতিমোহন বাবুর মতে, গুরুদেব নিজ হাতে তাঁদের গড়ে নিয়েছিলেন তাঁরা এ কাজে সফল হয়েছেন।

২.৬ শান্তিনিকেতনের সঙ্গে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক কীভাবে গড়ে উঠেছিল? প্রবন্ধ অনুসারে তাঁর সারাজীবনব্যাপী সারস্বত-সাধনার পরিচয় দাও।
উত্তর:
 হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ নামক প্রবন্ধ পাঠে জানা যায়, জমিদারি মহল্লা পরিদর্শন করতে গিয়ে আমিনের সেরেস্তায় নিযুক্ত হরিচরণের সাথে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় হয়। রবীন্দ্রনাথ জানতে পারেন হরিচরণ অবসর সময়ে সংস্কৃতের চর্চা করেন। হরিচরণের তৈরি একটি পাণ্ডুলিপি রবীন্দ্রনাথ চেয়ে দেখে নেন। তাঁর সংস্কৃত জ্ঞানের পরিচয় পেয়েই রবীন্দ্রনাথ তাকে শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত করেন। এভাবেই শান্তিনিকেতনের সঙ্গে হরিচরণের যোগাযোগ গড়ে ওঠে।

হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনে আসার পর রবীন্দ্রনাথ ‘সংস্কৃত প্রবেশ’ নামে তাঁর একটি অসমাপ্ত পুস্তক হরিচরণবাবুকে দিয়ে সমাপ্ত করান। এরপরে রবীন্দ্রনাথের নির্দেশে তিনি সুবৃহৎ অভিধান রচনার কাজে নিয়োজিত হন। ১৩১২ সালে রচনার সূচনা হয় এবং বহু বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ১৩৫২ সালে ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ গ্রন্থের মুদ্রণকার্য সমাপ্ত হয়। জীবনের চল্লিশটি বছর এক ধ্যান, এক জ্ঞান, এক কাজ নিয়ে কাটিয়েছেন। এ কাজ মহাযোগীর জীবন। বাঙালি চরিত্রে অনেক গুণ আছে, কিন্তু নিষ্ঠার অভাব। এদিক থেকে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি জাতির সম্মুখে এক অতি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সরোজিনী স্বর্ণপদক দিয়ে সম্মানিত করেছে। শান্তিনিকেতন আশ্রমিক সংঘ প্রাচীন ভারতীয় রীতিতে ষোড়শোপচারে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেছে। সর্বশেষে বিশ্বভারতী তাকে ‘দেশিকোত্তম’ ( ডি লিট) উপাধিতে সম্মানিত করেছে।

২.৭ রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যের পরিচয় প্রবন্ধটিকে কীভাবে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে আলোচনা করো।
উত্তর:
হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ নামক প্রবন্ধ পাঠে জানা যায়, জমিদারি দেখাশোনার কাজে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে হরিচরণবাবুর পরিচয় হয়। আমিনের সেরেস্তায় নিযুক্ত হরিচরণবাবুর সংস্কৃতচর্চার গুণ দেখে রবীন্দ্রনাথ তাঁর মধ্যে সুপ্ত সম্ভবনাকে আন্দাজ করতে পেরেছিলেন। একারণে রবীন্দ্রনাথ তাঁকে শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত করেন। কর্মনিষ্ঠার দ্বারা অল্পকালের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেছিলেন হরিচরণবাবু। তাইতো রবীন্দ্রনাথ নিজের অসমাপ্ত পুস্তক ‘সংস্কৃত প্রবেশ’ হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে সমাপ্ত করান এবং তাঁকে নির্দেশ দেন সুবৃহৎ অভিধান (‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’) রচনায়।

মাঝে আর্থিক অনটনের জন্য অভিধান রচনার কাজ কিছুদিন বন্ধ থাকলে রবীন্দ্রনাথ নিজে উপযাচক হয়ে মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর কাছে আবেদন জানিয়ে, হরিচরণবাবুর জন্য মাসিক পঞ্চাশ টাকার একটি বৃত্তি ধার্য করেন। ১৩১৮ সাল থেকে অভিধান সংকলনকার্য শেষ হওয়া পর্যন্ত ১৩ বছরকাল তিনি এই বৃত্তি ভোগ করেছেন। তাই জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে রবীন্দ্রনাথের এই অবদান তিনি কখনো বিস্মৃত হননি। হরিচরণবাবুকে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, –

“মহারাজের বৃত্তি লাভ ঈশ্বরের অভিপ্রেত, অভিধানের সমাপ্তির পূর্বে তোমার জীবননাশের শঙ্কা নাই।”

-কবি বাক্য অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়েছিল। সমস্ত বাধাবিপত্তি পেরিয়ে ১৩৫২ সালে ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ রচনার মুদ্রণকার্য সমাপ্ত হয়। তবে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধারণ থেকে এই অসাধারণ হয়ে ওঠার পেছনে যে রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যের যে যথেষ্ট প্রভাব ছিল একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

২.৮ ‘একক প্রচেষ্টায় এরূপ বিরাট কাজের দৃষ্টান্ত বিরল।’ – কোন কাজের কথা বলা হয়েছে? একে ‘বিরাট কাজ’ বলার কারণ কী?
উত্তর: কোন কাজ?:-
প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ নামক প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে বিরাট কাজ বলতে, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ -এর মতো সুবৃহৎ অভিধান রচনাকে বোঝানো হয়েছে।

বিরাট বলার কারণ:- হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় যখন রবীন্দ্রনাথের নির্দেশে ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ রচনায় প্রবৃত্ত হন তখন বঙ্গীয় পণ্ডিত সমাজে তিনি সম্পূর্ণ অপরিচিত ছিলেন। বয়সে নবীন, অভিজ্ঞতায় অপ্রবীণ, বিদ্যালয়ের ছাপটুকু পর্যন্ত ছিল না। তবুও রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রতি বিশ্বাস রেখেছিলেন। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও যেন সেই বিশ্বাসকে মর্যাদা দিতেই নিজের সর্বশক্তি দিয়ে কর্মে প্রবৃত্ত হন। ১৩১২ থেকে ১৩৫২ জীবনের এই ৪০ বছর এক ধ্যান, এক জ্ঞান, এক কাজ নিয়ে তিনি কাটান। সফল হন ১০৫ টি খণ্ডের সুবৃহৎ অভিধান সংকলনে। এই অভিধানে বাংলা এবং সংস্কৃত সাহিত্য থেকে প্রত্যেক শব্দের বহুবিধ প্রয়োগের দৃষ্টান্ত রয়েছে। এই কাজে যে শ্রম এবং জ্ঞানের প্রয়োজন হয়েছে তা ভাবলে বিস্মিত হতে হয়। অন্যান্য দেশে এইরকম কাজ কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা পণ্ডিত গোষ্ঠীর দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে। একক প্রচেষ্টায় এইরকম কাজের উদাহরণ বিরল। একারণে একে বিরাট কাজ বলা হয়েছে।

২.৯ ‘হরিচরণবাবুকে দেখে তাঁর সম্পর্কিত একটি প্রবাদ আমার মনে পড়ে যেত’ – প্রবাদটি কার লেখা? প্রবাদটি উদ্ধৃত করো।
উত্তর:
হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ নামক প্রবন্ধ থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা শ্লোকের কথা বলা হয়েছে। শ্লোকটি হলো,-

“কোথা গো ডুব মেরে রয়েছ তলে
হরিচরণ! কোন গরতে?
বুঝেছি! শব্দ অবধি – জলে
মুঠাচ্ছ খুব অরথে!”

২.১০ হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংকলিত অভিধানটির নাম কী? গ্রন্থটির রচনা, মুদ্রণ ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে নানাবিধ ঘটনার প্রসঙ্গ প্রবন্ধিক কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তর: গ্রন্থের নাম:-
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংকলিত অভিধানটির নাম ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ ।

নানাবিধ ঘটনা:- রবীন্দ্রনাথের নির্দেশে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ রচনায় প্রবৃত্ত হন। ১৩১২ সালে অভিধান রচনার সূচনা হয় । পাণ্ডুলিপির কাজ শেষ হয় ১৩৩০ সালে। তবে তখন অর্থের অভাবে মুদ্ৰণকাৰ্য সম্পন্ন হয়নি। এরূপ বিরাট গ্রন্থ প্রকাশের সামর্থ্য বিশ্বভারতীর ছিল না। তবে নগেন্দ্রনাথ বসু ও শান্তিনিকেতনের প্রাক্তন ছাত্র, শান্তিনিকেতনের অনুরাগী কিছু সংখ্যক শিক্ষিত ব্যক্তির অনুকূল্যে মাঝে কয়েকটা ক্ষুদ্র খণ্ড প্রকাশিত হয়। মুদ্রণকার্য শুরু হওয়ার আগেই এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সাহায্যকারী রাজা মণীন্দ্রচন্দ্রের মৃত্যু হয়। মুদ্রণ শেষ হওয়ার আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও পরলোক গমন করেন। অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে ১৩৫২ সালে ১০৫ টি খণ্ডে ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ গ্রন্থের মুদ্রণকার্য সমাপ্ত হয়।

২.১১ প্রাবন্ধিকের সঙ্গে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত স্মৃতির প্রসঙ্গ প্রবন্ধে কীরূপ অনন্যতা দান এনে দিয়েছে তা আলোচনা করো।
উত্তর:
হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ নামক প্রবন্ধে প্রাবন্ধিকের সঙ্গে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত স্মৃতির প্রসঙ্গ অনন্যতার স্বাদ এনে দিয়েছে। জানা যায়, প্রাবন্ধিক যখন শান্তিনিকেতনের কাজে যোগ দিয়েছিলেন তখনও হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিধানের মুদ্রণকার্য সমাপ্ত হয়নি। প্রাবন্ধিক দেখতেন, তিনি লাইব্রেরীতে একটি ছোটো ঘরে নিবিষ্ট মনে কাজ করছেন। হরিচরণবাবুর প্রসঙ্গে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা শ্লোকটিও প্রাবন্ধিক মনে করেছেন। অভিধান রচনার কাজ শেষ হওয়ার পরেও প্রাবন্ধিক তাঁকে রোজ দেখতেন। প্রাতঃভ্রমণ এবং সান্ধ্যভ্রমণ তার নিত্য কর্ম ছিল। পথে দেখা হলে ক্ষীণদৃষ্টিবশত সব সময় লোক চিনতে পারতেন না। কখনো চিনতে পারলে সস্নেহে কুশলবার্তা জিজ্ঞেস করতেন। এই মহান মানুষটির বিদ্যাচর্চা, কর্মনিষ্ঠা প্রাবন্ধিক হীরেন্দ্রনাথ দত্তকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করত। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখলেই তাঁকে প্রসন্নচিত্ত বলেই মনে হতো। এরূপ সাধক মানুষের মনে কোথাও একটি প্রশান্তি বিরাজ করত। এজন্য সুখে-দুঃখে তিনি বিচলিত হতেন না বলে মনে করেছেন প্রাবন্ধিক l

২.১২ ‘তিনি অভিধান ছাড়াও কয়েকখানা গ্রন্থ রচনা করে গিয়েছেন।’ – হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত অন্যান্য কয়েকটি গ্রন্থের নাম ও বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তর:
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ অভিধান রচনা ছাড়াও ‘সংস্কৃত প্রবেশ’ নামে রবীন্দ্রনাথের একটি অসমাপ্ত পুস্তক রচনার কাজ সমাপ্ত করেন। এছাড়াও তিনি বেশকিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন। যেমন, –

রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্যে লেখা তাঁর দুটি গ্রন্থ ‘কবির কথা’ ও ‘রবীন্দ্রনাথের কথা’। ব্যাকরণ বিষয়ে লেখা গ্রন্থ ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’। পালি ভাষার নানাবিধ বৈশিষ্ট্য নিয়ে লেখা গ্রন্থ ‘পালি প্রবেশ’। এছাড়াও সংস্কৃত ভাষা নিয়ে আলোচনা রয়েছে তাঁর রচিত ‘Hints on Sanskrit Translation and Composition’ গ্রন্থে। এছাড়াও তিনি ম্যাথু আর্নল্ডের ‘শোরাব রোস্তম’ এবং ‘বশিষ্ট বিশ্বামিত্র’, ‘কবিকথা মঞ্জুষা’ প্রভৃতি গ্রন্থ অমিত্রাক্ষর ছন্দে অনুবাদ করেছিলেন।

২.১৩ হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি প্রাবন্ধিক হীরেন্দ্রনাথ দত্ত তাঁর অনুরাগ কীভাবে ব্যক্ত করেছেন, তা বিশদভাবে আলোচনা করো।
উত্তর:  
হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ নামক প্রবন্ধ পাঠে জানা যায়, প্রাবন্ধিক যখন শান্তিনিকেতনের কাজে যোগ দেন তখনও হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিধান মুদ্রণের কাজ সমাপ্ত হয়নি। প্রাবন্ধিক দেখতেন তিনি লাইব্রেরীতে একটি ছোটো কুঠুরিতে এক মনে কাজ করছেন। যদিও অভিধান মুদ্রণ শেষ হবার পরেও তাকে নিত্য দেখা যেত প্রাতঃভ্রমন এবং সান্ধ্যভ্রমণের সময়। দেখা হলে ক্ষীণদৃষ্টিবশত সব সময় লোক চিনতে পারতেন না। কখনো চিনতে পারলে সস্নেহে কুশল বার্তা জিজ্ঞেস করতেন। এমন একজন মহান মানুষের এমন সহজ, স্বাভাবিক আচরণ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও অনুরাগ বাড়িয়ে দিত। হরিচরণবাবু জীবনের চল্লিশ বছরকাল অনন্যমনা হয়ে এক কাজে মগ্ন ছিলেন। এরূপ সাধনাকারী মহাযোগীর কর্মাবসানে মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল তা জানতে কৌতূহল হতো প্রাবন্ধিকের। তাঁকে দেখে প্রসন্নচিত্ত বলেই মনে হতো। মনে হতো এমন সাধক মানুষের মনে কোথাও একটি প্রশান্তি বিরাজ করে। এজন্য সুখে-দুঃখে কখনো তাঁরা বিচলিত হন না। প্রাবন্ধিক নিজেও হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। এমন মহান মানুষের কীর্তির কথা নিজের রচনার দ্বারা যে তুলে ধরেছেন প্রাবন্ধিক, এটা তাঁর প্রতি অনুরাগেরই একটা ফসল, একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

শব্দার্থ : হঠকারিতা – বিবেচনা না করে কাজ করা। বিদ্যোৎসাহী – বিদ্যা প্রসারে উৎসাহ দানকারী। আকিঞ্চন – নিঃস্ব/দরিদ্র। অভিনিবেশ – মনোযোগ। উপযাচক – বিনা আহ্বানে আসা।

হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

বঙ্গীয় শব্দকোষের বর্তমান প্রচ্ছদ

হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৬৭ – ১৯৫৯) : ঠাকুরবাড়ির জমিদার এলাকার সংস্কৃত ভাষার শিক্ষক ছিলেন। পরে পাতিসর অফিসের কর্মচারী হন। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে নিয়ে আসেন। সংস্কৃত শিক্ষার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ যে কাজ শুরু করেছিলেন, হরিচরণ তিন খণ্ডে সংস্কৃত প্রবেশ/প্রবেশিকা তা সমাপ্ত করেন। পাঠ্য রচনাটিতে তাঁর অভিধান সংকলনের বিশদ বিবরণ পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুন

বোঝাপড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Bojhapora Question Answer | Class 8 | Wbbse

অদ্ভুত আতিথেয়তা প্রশ্ন উত্তর | Advut Atitheota Question Answer | Class 8 | Wbbse

বনভোজনের ব্যাপার প্রশ্ন উত্তর | নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় | Bonbhojoner Bapar Question Answer | Class 8 | Wbbse

চন্দ্রগুপ্ত নাটকের প্রশ্ন উত্তর | দ্বিজেন্দ্রলাল রায় | Chandragupta Question Answer | Class 8 | Wbbse

সবুজ জামা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | Sobuj Jama Question Answer | Class 8 | Wbbse

পরবাসী কবিতার প্রশ্ন উত্তর | বিষ্ণু দে | Porobasi Class 8 Question Answer | Wbbse

চিঠি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | মাইকেল মধুসূদন দত্ত | Chithi Class 8 Question Answer | Wbbse

একটি চড়ুই পাখি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | তারাপদ রায় | Ekti Chorui Pakhi Kobita Question Answer | Class 8 | Wbbse

পথচলতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় | Class 8 Bengali Pathchalti Question Answer | Wbbse

গাছের কথা প্রশ্ন উত্তর | জগদীশচন্দ্র বসু | Class 8 Bengali Gacher Kotha Question Answer | WBBSE

ছন্নছাড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর | অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত | Class 8 Bengali Channachara Question Answer | Wbbse

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment