ক্ষুদ্র দেশীয় রাজ্যগুলি কীভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়? 4 Marks/Class 10
উত্তর:-
ভূমিকা : ভারতের স্বাধীনতালাভের প্রাক্কালে ৫৬২টিরও বেশি দেশীয় রাজ্য ছিল এবং এদের স্বাধীন অস্তিত্ব ও স্বাধীন থাকার মনােভাব ভারতে এক রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি করেছিল। এই পরিস্থিতিতে দেশীয় রাজ্য দপ্তর ভারতভুক্তির দলিলের মাধ্যমে এই রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করে।
ভারতভুক্তি : দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির পদ্ধতি প্রায় সকলেই মেনে নেয়।
(১) সামান্য কিছু গােলযােগের পর জুনাগড় এবং আরও কয়েকটি সন্নিহিত রাজ্য কাথিয়াবাড় (সৌরাষ্ট্র)-এর সঙ্গে (৩১ ডিসেম্বর, ১৯৪৮) যুক্ত হয়।
(২) ময়ূরভঞ্জ উড়িষ্যার সঙ্গে, কোলাপুর বােম্বের সঙ্গে, রামপুর ও বেনারস উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে, কোচিন ত্রিবাঙ্কুর-এর সঙ্গে যুক্ত হয়।
(৩) এদের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অংশ ছিল বৃহত্তর রাজস্থান ইউনিয়ন’, যার আনুষ্ঠানিক ভাবে উদবােধন হয় ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০ মাচ। এই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল প্রাচীন ১৫টি ক্ষুদ্র রাজপুত রাজ্য, যেগুলির মােট আয়তন ছিল এক লক্ষ কুড়ি হাজার মাইল এবং জনসংখ্যা ছিল এক কোটি ৩০ লক্ষ। এখানকার বার্ষিক রাজস্ব ছিল দশ কোটি টাকা।
(৪) বােম্বাইয়ের সঙ্গে বরােদার সংযুক্তি ঘটে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১ মে।
(৫) ভূপাল, কুচবিহার, ত্রিপুরা ও মণিপুরকে কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে নিয়ে আসা হয়।
উপসংহার : এইভাবে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসের আগেই দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়, শুধু বাকি থাকে হায়দরাবাদ ও কাশ্মীর।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।