কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বামপন্থী প্রবণতা বৃদ্ধির নিদর্শন হিসেবে ত্রিপুরী কংগ্রেসের অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ কেন? 

কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বামপন্থী প্রবণতা বৃদ্ধির নিদর্শন হিসেবে ত্রিপুরী কংগ্রেসের অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ কেন?    4 Marks/Class 10

উত্তর:-

ভূমিকা : কংগ্রেসের ত্রিপুরী অধিবেশনে (১৯৩৯ খ্রি.) বামপন্থী ও দক্ষিণপন্থীদের মধ্যে মতাদর্শগত বিরােধ চরমে ওঠে। এই অধিবেশনে বামপন্থীরা কোণঠাসা হয় এবং দক্ষিণপন্থীদের একাধিপত্য বজায় থাকে।

প্রেক্ষাপট : গান্ধিজির আপত্তি সত্ত্বেও ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের ত্রিপুরী অধিবেশনে সুভাষচন্দ্র দ্বিতীয়বারের জন্য কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রার্থী হন। সভাপতি পদের নির্বাচনে সুভাষচন্দ্র গান্ধিজি মনােনীত দলীয় দক্ষিণপন্থী প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে ২০৩টি ভােটের (১৫৮০-১৩৭৭) ব্যবধানে পরাজিত করেন।

প্রতিক্রিয়া : সুভাষচন্দ্র বসুর জয়লাভে গান্ধিজি কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে কংগ্রেসের দক্ষিণপন্থী নেতারা সুভাষচন্দ্রের বিরােধিতা এবং তার প্রতি অসহযােগিতার নীতি গ্রহণ করে। গান্ধিজিও সভাপতি হিসেবে সুভাষচন্দ্রের ক্ষমতা কাটছাঁট শুরু করলেন। এইরূপ পরিস্থিতিতে সুভাষচন্দ্র নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির কলকাতা অধিবেশনে (২৯ এপ্রিল, ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দ) সভাপতি পদে ইস্তফা দিয়ে ৩ মে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ নামে একটি নতুন বামপন্থী দল গঠন করেন।

গুরুত্ব : (১) কংগ্রেসের ত্রিপুরী অধিবেশন বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ, যেমন—কংগ্রেস ভাঙনের মুখে পড়ে, (২) ত্রিপুরী অধিবেশনের পর থেকে কংগ্রেসি রাজনীতিতে গান্ধিজির একাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত ও সুদৃঢ় হয়, (৩) কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বামপন্থী শক্তিগুলিকে সুসংহত করার আশা বিলীন হয়।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

1 thought on “কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বামপন্থী প্রবণতা বৃদ্ধির নিদর্শন হিসেবে ত্রিপুরী কংগ্রেসের অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ কেন? ”

Leave a Comment