দশম শ্রেনী (মাধ্যমিক) Class 10 Physical Science রাসায়নিক গঠন অনুসারে বায়ুমণ্ডলকে কটি ভাগে ভাগ করা যায়? এদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

রাসায়নিক গঠন অনুসারে বায়ুমণ্ডলকে কটি ভাগে ভাগ করা যায়? এদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

রাসায়নিক গঠন অনুসারে বায়ুমণ্ডলকে কটি ভাগে ভাগ করা যায়? এদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 1+2
অথবা, বায়ুমণ্ডলের হােমােস্ফিয়ার ও হেটেরােস্ফিয়ার অঞ্চল বলতে কী বােঝ? Class 10 | Physical Science | পরিবেশের জন্য ভাবনা

উত্তর:- রাসায়নিক গঠন অনুসারে বায়ুমণ্ডলকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা—হােমােস্ফিয়ার বা সমমণ্ডল এবং হেটেরােস্ফিয়ার বা বিষমমণ্ডল।

হােমােস্ফিয়ার: বায়ুমণ্ডলের নীচের অংশে (ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 85 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত) উপাদান গ্যাসগুলির (N2, O2, Ar, CO2 জলীয় বাষ্প ইত্যাদি) অনুপাত সর্বত্র প্রায় সমান থাকে। তাই এই অংশটিকে হােমােস্ফিয়ার বা সমমণ্ডল বলে। বায়ুমণ্ডলের ট্রোপােস্ফিয়ার, স্ট্রাটোস্ফিয়ার ও মেসােস্ফিয়ার স্তরগুলি এর অন্তর্গত। 

হেটেরােস্ফিয়ার: হােমােস্ফিয়ারের ওপরের অংশে যেখানে বায়ুমণ্ডলের উপাদান গ্যাসীয় পদার্থগুলির অনুপাত স্থির নয়, তাকে হেটেরােস্ফিয়ার বা বিষমমণ্ডল বলে। এটি ভূপৃষ্ঠের ওপর 85 কিমি উচ্চতা থেকে প্রায় 1000 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়ুমণ্ডলের থার্মোস্ফিয়ার ও এক্সোস্ফিয়ার স্তর দুটি এর অন্তর্গত। (জন রাখে।

বায়ুমণ্ডলে মােটামুটিভাবে 78% নাইট্রোজেন, 20% অক্সিজেন, 0.93% আর্গন ও 0.04% কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস উপস্থিত। বিভিন্ন জলাশয় থেকে জল বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প হিসেবে থাকে। বায়ুমণ্ডলে এর পরিমাণ প্রায় 0.1-4%। মরুভূমি ও সমুদ্র তীরবর্তী অঞলের সূক্ষ্ম বালিকণা, কলকারখানা থেকে নির্গত ছাই, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট ছাই প্রভৃতি ধূলিকণারূপে বায়ুমণ্ডলে ভাসমান অবস্থায় থাকে। বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরের তুলনায় নীচের স্তরে ধূলিকণার পরিমাণ বেশি থাকে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!