আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্ন উত্তর | Ashirbad Class 6 Question Answer | WBBSE

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 6 এর আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেনীর পাঠ্যবইতে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের লেখা আশীর্বাদ গল্প রয়েছে। গল্পের শেষে যে সব প্রশ্নপত্র গুলি রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

আশীর্বাদ

দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার


দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের জন্ম ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে, বাংলাদেশের ঢাকা জেলার উলাইল গ্রামে। কবিতা দিয়ে তাঁর সাহিত্যজীবন শুরু হলেও তিনি রূপকথা ও লোককথার অসংখ্য গল্প লিখেছেন। তিনি বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল—ঠাকুরমার ঝুলি, ঠাকুরদাদার ঝুলি, দাদামশায়ের থলে, ঠানদিদির থলে, চারু ও হারু, চিরদিনের রূপকথা, বাংলার সোনার ছেলে, কিশোরদের মন প্রভৃতি। বঙ্গীয় শিশু সাহিত্য পরিষদ তাঁকে ভুবনেশ্বরী পদে সম্মানিত করে। তিনি ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে পরলোক গমন করেন।

১.১ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি কী আকর্ষণ করতো?

উত্তরঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ করতো রূপকথা, উপকথা ও লোকগাথার গল্প।

১.২ তিনি শিশুসাহিত্যের কোন পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন?

উত্তরঃ তিনি শিশুসাহিত্যের ভুবনেশ্বরী পদক পেয়েছিলেন।

২.১ বন্যায় প্রকৃতির রূপ কেমন হয় ?

উত্তরঃ বন্যায় প্রকৃতির রূপ হয় ভয়াল, ভয়ঙ্কর, চারিদিক জলে থৈথৈ করে।

২.২ পিঁপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল?

উত্তরঃ পিঁপড়ে ঘাসের পাতার নীচে আশ্রয় নিয়েছিল।

২.৩ বৃষ্টির সময়ে গাছের পাতা কাঁপছিলো কেন? 

উত্তরঃ বৃষ্টির ফোঁটার আঘাতে পাতাটি কাপছিল।

২.৪ পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য কী করল?

উত্তরঃ পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য গাছের পাতার শিরাকে জোরে কামড়ে ধরল।

২.৫ পিঁপড়ে কখন ‘বাপ! বাঁচলেম’ বলে উঠল?

উত্তরঃ বৃষ্টি একটু ধরলে গাছের পাতাটা সোজা হয়ে দাঁড়ালে পিঁপড়ে পাতার কামড় ছেড়ে দিয়ে নিশ্বাস ছেড়ে একথা বলেছিল।

২.৬ জল কেমন শব্দে হেসে উঠেছিল?

উত্তরঃ জল খলখল শব্দে হেসে উঠেছিল।

২.৭ ‘বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল পিঁপড়ের।’—কেন এমন হলো ?

উত্তরঃ চারদিক জলমগ্ন হওয়ায় পিঁপড়ের নিজের অবস্থার কথা ভেবে বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল।

২.৮ ‘শরতের আশীর্বাদ তোমাদেরও উপরে ঝরুক।’—কে এমনটি কামনা করেছিল ?

উত্তরঃ এই কামনা করেছিল ঘাসের পাতা।

৩.১ বর্ষা খুব নেমেছে।

উত্তরঃ নেমেছে—সমাপিকা ক্রিয়া।

৩.২ ভাই, জোরে আঁকড়ে ধরো।

উত্তরঃ ধরো—সমাপিকা ক্রিয়া।

৩.৩ এক ঢোক জল খেয়ে পিঁপড়ে আর কিছু বলতে পারলে না।

উত্তরঃ পারলে না—সমাপিকা ক্রিয়া, খেয়ে, বলতে—অসমাপিকা ক্রিয়া।

৩.৪ বৃষ্টির ফোঁটার ঘায়ে পাতাটা বোধহয় এলিয়ে পড়বে জলে।

উত্তরঃ পড়বে—সমাপিকা ক্রিয়া, ঘায়ে— অসমাপিকা ক্রিয়া।

৩.৫ শিউরে পাতা বললে— ‘ভাই, তেমন কথা বোলো না।’

উত্তরঃ বোলো না—সমাপিকা ক্রিয়া, বললে – অসমাপিকা ক্রিয়া।

৪.১ সারা দিন রাত খাটি।

উত্তরঃ অকর্মক (খাটি)।

৪.২ আমরা যাই, আসি, দেখি।

উত্তরঃ অকর্মক (দেখি)।

৪.৩ ঘাসের পাতাটা সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উত্তরঃ সকর্মক (দাঁড়িয়েছে)।

৪.৪ এ জল কী করে পার হব?

উত্তরঃ সকর্মক (পার হব)।

৪.৫ পৃথিবী তোমার হবে।

উত্তরঃ সকর্মক (হবে)।

উত্তরঃ 

নিশ্বাস = নিঃ + শ্বাস। 

বৃষ্টি = বৃষ্ + তি। 

নিশ্চয় = নিঃ + চয়। 

আশীর্বাদ = আশীঃ + বাদ।

উত্তরঃ 

বিদেশ = বি + দেশ, বি + ভুঁই = বিভুঁই, বি + শ্রাম = বিশ্রাম।

দুর্ভাগ্য = দুর্ + ভাগ্য, দুর্ + ভোগ = দুর্ভোগ, দুর্ + দিন = দুর্দিন।

অনাবৃষ্টি = অনা + বৃষ্টি, অনা + হার = অনাহার, অনা + দর = অনাদর।

সুদিন = সু + দিন, সু + খবর = সুখবর, সু+ বিচার = সুবিচার।

নির্ভয় = নি + ভয়, নি + খুঁত = নিখুঁত, নি + ঠুর = নিষ্ঠুর।

উত্তরঃ 

বিশেষ্যবিশেষণ
আশ্রয়আশ্রিত
শরীরশারীরিক
শরৎশারদীয়
মুখমৌখিক
ফুলফুলেল

উত্তরঃ 

চোখ (আঁখি) ভালো জিনিস দেখতে পাবার জন্য উদ্‌গ্রীব হয়ে রয়েছে।

চোখ (নজর) লোকটাকে চোখে চোখে রাখ, যাতে পালাতে না পারে।

৯.১ আমরা সাঁতার জানি।

৯.২ বর্ষাতেও পিঁপড়ের মুখ শুকিয়ে গেল।

৯.৩ শেষে আবার সেই গর্তেই ঢুকি গিয়ে। 

৯.৪ খল্ খল্ করে হেসে উঠল জল।

৯.৫ পৃথিবী সবারই হোক।

উত্তরঃ

মূল বাক্যউদ্দেশ্যবিধেয়
৯.১ আমরা সাঁতার জানি।আমরাসাঁতার জানি।
৯.২ বর্ষাতেও পিঁপড়ের মুখ শুকিয়ে গেল।পিঁপড়েরমুখ বর্ষাতেও শুকিয়ে গেল।
৯.৩ শেষে আবার সেই গর্তেই ঢুকি গিয়ে।(আমি)গর্তেই ঢুকি গিয়ে।
৯.৪ খল্ খল্ করে হেসে উঠল জল।জলখল্ খল্ করে হেসে উঠল
৯.৫ পৃথিবী সবারই হোক।পৃথিবীসবারই হোক।

১০.১ আমরা সাঁতার জানি। আমরা হাঁটতে জানি। (‘এবং’ দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো)

উত্তরঃ আমরা সাঁতার জানি এবং হাঁটতেও জানি।

১০.২ তোমরা পৃথিবীর উপরে হাসো, ফুলটুল ফুটাও। (দুটো বাক্যে ভেঙে লেখো)

উত্তরঃ তোমরা পৃথিবীর উপরে হাস। তোমরা ফুলটুলও ফোটায়।

১০.৩ বর্ষা খুব নেমেছে। নীচেও ডেকেছে বান। (‘যখন-তখন’ দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো)

উত্তরঃ যখন বর্ষা খুব নেমেছে তখন নীচেও ডেরেছে বান।

১০.৪ আমরা নড়তেও পারি নে। কোনোরকমে শুঁড়-টুড় বাড়াই। (‘কিন্তু’ অব্যয়টি দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো)

উত্তরঃ আমরা নড়তে পারিনে কিন্তু কোনোরকমে শুঁড়-টুড় বাড়াই।

১০.৫ এক ঢোক জল খেল এবং পিঁপড়ে কিছু বলতে পারলে না। (‘এবং অব্যয়টি তুলে দিয়ে বাক্যদুটিকে একটি বাক্যে লেখো)

উত্তরঃ এক ঢোক জল খেয়ে পিঁপড়ে কিছু বলতে পারল না।

১১.১ পাঠ্যাংশে কোন্ কোন্ ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে? প্রতিক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।

উত্তরঃ পাঠ্যাংশে গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং শরৎ ঋতুর কথা আছে।

গ্রীষ্ম : রোদ্দুরে পুড়ে বন্ধুর দল ধুলো হয়ে আছে।

বর্ষা : বর্ষায় বৃষ্টি এলো.ঝমঝম করে, পিঁপড়ে তাড়াতাড়ি আবার কামড়ে ধরলো পাতা।

শরৎ : আশীর্বাদ করি, শরতের আশীর্বাদ তোমাদের উপরে ঝরুক।

১১.২ পাতা গাছের কী প্রয়োজনে লাগে ?

উত্তরঃ পাতাই গাছের জীবন। পাতার ক্লোরোফিল কণা সূর্যরশ্মির সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে।

১১.৩ পিঁপড়ের বাসস্থান সম্পর্কে অনধিক তিনটি বাক্য লেখো।

উত্তরঃ পিঁপড়ের বাসা তার গর্ত। পিঁপড়ে মাটির নিচে বাসা তৈরি করে সেখানে খাদ্য সঞ্চয় করে। আবার বেশি বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা থাকলে তারা উঁচু স্থানে বাসা বাঁধে।

১১.৪ বৃষ্টি পাতাকে কোন্ পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে?

উত্তরঃ বৃষ্টি পাতাকে তার বন্ধুর পরিচয়ে, জীবজগতকে আশ্রয় দেবার পরিচয়ে পরিচিত করেছে।

১১.৫ সবার কথা শুনে পিঁপড়ে কী ভাবল ?

উত্তরঃ পিঁপড়ে ভাবল, পৃথিবী কি আবার তার হবে। তার চোখে জল এসে গিয়েছিলো।

১১.৬ প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ কীভাবে ঝরে পড়ে?

উত্তরঃ বর্ষার পর শরৎ আসে। তখন আবহাওয়া থাকে মনোরম। চারদিকে দেখা যায় কাশফুলের সমারোহ। নীল আকাশ, উজ্জ্বল রোদ—এভাবেই প্রকৃতির বুকে শরত-এর আশীর্বাদ ঝরে পড়ে।

১২.১ বৃষ্টির সময় তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ নেয় সে সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখো। 

উত্তরঃ রূপনারায়ণের তীরে বাড়ি, আষাঢ়ে ঘোর বর্ষায় প্রকৃতি এখানে ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। প্রবল ঝড় ওঠে, তখন নদীর জল খলখল শব্দে ছুটে আসে। মাঝে মাঝে নদীর বাঁধ ভেঙে রাস্তাঘাট, ফসলের ক্ষেত সব ভেসে যায়। মানুষ পশুপাখি, গবাদি পশুর কষ্টের সীমা-পরিসীমা থাকে না। 

১২.২ পিঁপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল কেন?

উত্তরঃ বর্ষা নেমেছে, নীচেও বান ডেকেছে। জলে চারিদিক থইথই করছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচানোর জন্য পিঁপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছে।

১২.৩ পাতা কেন পিঁপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল?

উত্তরঃ বৃষ্টির আঘাতে পাতাটি কাঁপছিল, মনে হচ্ছিল বোধ হয় এলিয়ে পড়বে। ছোট্ট পিঁপড়ে ভেসে যাবে অসীম জলে, তাই পাতা পিঁপড়েকে বলেছিল জোরে তার শরীর কামড়ে ধরতে।

১২.৪ পাতা কী বলে পিঁপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল? ‘কাজে আসে না কোনোটাই – এখানে তার কোন্ কাজে না আসার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ পাতা পিঁপড়েকে প্রবোধ দিয়ে বলেছিল যে, পিঁপড়ে সাঁতার কাটতে জানে, হাঁটতে পারে, দৌড়াতেও পারে।

কিন্তু পাতা চিরকালই এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকে। কেবলমাত্র শুঁড়টুড় বাড়াতে পারে। নীচে জল, উপরে বৃষ্টি। এতে পিঁপড়ের প্রাণ যাওয়ার মত অবস্থা। এক্ষেত্রে তার সাঁতার জানা, দৌড়াতে পারা প্রভৃতি প্রাণ বাঁচানোর কোনো কাজে আসে না।

১২.৫ ‘তাই আজ বেঁচে গেলাম’—বক্তার ‘আজ বেঁচে যাওয়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ বর্ষায় চারিদিক জলে থইথই করছে কোথায়ও এতোটুকু ডাঙ্গা নেই। পিঁপড়ে একটা গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছে। তাই পিঁপড়ে এ যাত্রায় বেঁচে গেছে।

১২.৬ পিঁপড়ে আর পাতা কীভাবে নিজেদের কষ্টের কথা গল্পে বলেছে তা একটি অনুচ্ছেদে লেখো।

উত্তরঃ বর্ষায় ঘোরতর বৃষ্টি নেমেছে। চারিদিকে জল থইথই করছে। এই অবস্থায় ঘাসের পাতা, পিঁপড়ে দুজনেই খুব কষ্টে পড়েছে। পিঁপড়ে অনেক কষ্টে আশ্রয় নিয়েছে একটি ঘাসের পাতার উপর, প্রচন্ড বৃষ্টির আঘাতে পাতা টলমল করলে সে জোরে কামড়ে ধরে। শরীরটা ডুবে ডুবে যাচ্ছে। আবার কোনোক্রমে প্রাণ বাঁচছে। রোদ্দুরে তাদের পুড়ে মরতে হয়, বর্ষায ডুবে মরতে হয়। তার বুক ভেঙে নিশ্বাস বের হয়ে আসে। পৃথিবীর বুকে যে জল জমেছে, তা কি কোনোদিন শুকাবে?

 ঘাসের পাতারও দুঃখ কম নয়, চারিদিক জল থইথই করছে। গাছপালা সব জলে ডুবুডুবু। বৃষ্টির আঘাতে গাছের পাতা আহত হচ্ছে। বৃষ্টি থামলে সে নিজেকে একটু সোজা করে নিচ্ছে। পিঁপড়ের মতো সে হতাশাবাদী নয়। তার আশা বৃষ্টি সরে যাবে, আবার ডাঙা জেগে উঠবে।

১২.৭ পিঁপড়ের সঙ্গে গাছের কথাবার্তা নিয়ে সংলাপ তৈরি করো :

উত্তরঃ 

পিঁপড়ে — এতো বৃষ্টি চারিদিক জলে থইথই করছে। খাল বিল ডুবুডুবু এখন প্রাণ বাঁচানো দায়। 

পাতা — ভয় পেয়ো না, কিছুই হবে না, জোর বৃষ্টি এসেছে তুমি আমাকে আরো জোরে কামড়ে ধরো। আমার কোনো ব্যথা লাগবে না।

পিঁপড়ে — ভাই পাতা তুমি ছিলে বলে এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেছি। চারিদিকে জল, হাঁটা চলা, খাবার সংগ্রহ করার কোনো উপায় নেই। 

পাতা — আরে অতো ভাবছো কেন? বাদল থেমে যাবে, তোমরা তো হাঁটতে চলতে ছুটতে পারো, কতো কি জানো ! জিমনাস্টিক্স পর্যন্ত জানো। আর আমি কিছুই পারি না। এক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকি, কোনরকমে শুঁড়টুড় বাড়াই। 

পিঁপড়ে — হাঁটতে চলতে পেরেই কি লাভ? কোনো কাজেই তো এলো না। ডাঙায় রোদ্দুরে দিনে পুড়ে মরি, বর্ষায় ভেসে যাওয়ার উপক্রম ।

পাতা — দেখো পিঁপড়ে তুমি কতো কাজ কর ও সারাদিন খেটে যাও।

পিঁপড়ে — এতো খেটে কি লাভ? শুধু খেটে যাই, আর খাই, গর্তে চলে যাই। অথচ তোমরা পৃথিবীর উপরে হাস ফুল ফোটাও, আরো কতো কি দান করো, মাটি আমাদের পৃথিবী তোমাদের। 

পাতা — এভাবে হতাশ হয়ো না, বর্ষা থেমে যাবে শরত আসবে, গাছ, প্রাণী সবাই বাঁচবে। 

১২.৮ ‘মাটি সবারই’—পাতার এই কথার মধ্যে দিয়ে কোন্ সত্য ফুটে উঠেছে? 

উত্তরঃ  পাতার কথা ঠিকই। মাটি সবার প্রাণ— কীটপতঙ্গ, মানুষ, পশু, পাখি, গাছপালা সবাই মাটিকে আশ্রয় করেই বেঁচে আছে।

১২.৯ মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি কোন্ কথা শুনতে পেয়েছিল? তা শুনে বৃষ্টি পিঁপড়েকে কী বলল ?

উত্তরঃ  পিঁপড়ে ভয় পেয়ে বলেছিল এ জল পার হব কি করে?

তা শুনে বৃষ্টি পিঁপড়েকে বলল—পিঁপড়ে ভাই বড্ড তোমার ভয়। তোমার পাতা বন্ধুকে আমি কখনও ভয় পেতে দেখিনি। আমরা অর্থাৎ বৃষ্টির ফোঁটারা চলে যাই বিদেশে। ফিরে এসে দেখি রোদ্দুরে পুড়ে বন্ধুর দল ধুলো হয়ে আছে। যেই দি ডাক, আর ধুলো ঝেড়ে সারা দেশ সবুজ হয়ে ওঠে সবুজ পাতা চিরদিন। আমি আনন্দে গান গেয়ে উঠি সবুজবন্ধুর হাত ধরে। 

১২.১০ শরত ঋতুর প্রকৃতি কেমন সে বিষয়ে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।

উত্তরঃ  শরতকালে নীল আকাশের রঙ আরো আরো গাঢ় হয়ে ধরা দেয়। তার কোলে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ যখন ঘুরে বেড়ায়, সেই দৃশ্য অনির্বচনীয়। ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ে মনে হয় ঝিরঝির করে তুষার পড়ছে। চারিদিক সবুজ গাছপালায় ঢেকে যায়। খাল-বিল-নদী-পুকুর-নালা জলে থৈথৈ করে। তাতে রঙীন শাপলা, শালুক, পদ্ম ফুটে। মৌমাছি, প্রজাপতির গুঞ্জন বেড়ে যায়। বাতাসে পুজোর গন্ধ পরিবেশকে আরো মনোরম করে তোলে।

১২.১১ পাতা, বৃষ্টি, জল, ঘাসের পাতা কে কীভাবে পিঁপড়ের মনে সাহস জুগিয়েছিল—তা আলোচনা করো। 

উত্তরঃ  পাতা বলেছিল — আমাকে জোরে কামড়ে ধরো, ভয় পেয়ো না, তোমরা তো সাঁতার জানো, হেঁটে, দৌড়ে চলো। তোমার আবার ভয় কি?

বৃষ্টি বলেছিল — তোমার বড্ড ভয়। তোমার পাতা বন্ধুকে কোনোদিন ভয় পেতে দেখিনি। রোদ্দুরে পুড়ে বন্ধুর দল ধুলো হয়ে যায়। যেই ডাক দি ধুলো ঝেড়ে সারাদেশ সবুজ হয়ে ওঠে।

জল বলেছিল — যে ঘাসকে আমি ডুবিয়ে, কাদায় লুটিয়ে, তলিয়ে দিয়ে ছুটি, শরতে চেয়ে দেখি তারাই কাশবন হয়ে হাসছে। 

আরো পড়ুন

ভরদুপুরে কবিতা | নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী | প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা

শঙ্কর সেনাপতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়

খোলামেলা দিনগুলি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | শান্তিসুধা ঘোষ

পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | হাইনরিখ হাইনে

মন ভালো করা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | শক্তি চট্টোপাধ্যায় | Mon Valo Kora Question Answer | Class 6 | Wbbse

পশুপাখির ভাষা গল্পের প্রশ্ন উত্তর | সুবিনয় রায়চৌধুরী | Poshupakhir Vasha Question Answer | Class 6 | Wbbse

ঘাসফড়িং কবিতার প্রশ্ন উত্তর | অরুণ মিত্র | GhashForing Question Answer | Class 6 | Wbbse

কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য | Kumore Pokar Bashabari Question Answer | Class 6 | Wbbse

চিঠি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | জসীমউদ্দিন | Chithi Question Answer | Class 6 | Wbbse

হাট কবিতার প্রশ্ন উত্তর | যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত | Hat Question Answer | Class 6 | Wbbse

মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র গল্পের প্রশ্ন উত্তর | তপন কর | Matir Ghore Deyalchittro Question Answer | Class 6 | Wbbse

মরশুমের দিনে প্রশ্ন উত্তর | সুভাষ মুখোপাধ্যায় | Morsumer Dine Question Answer | Class 6 | Wbbse

পিঁপড়ে কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Pipre Question Answer | Class 6 | WBBSE

ফাঁকি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | Faki Question Answer | Class 6 | WBBSE

চিত্রগ্রীব এর প্রশ্ন উত্তর | Chitrogrib Question Answer | Class 6 | WBBSE

আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্ন উত্তর | Ashirbad Class 6 Question Answer | WBBSE

এক ভুতুড়ে কান্ড প্রশ্ন উত্তর Class 6 | Ek Bhuture Kando Question Answer

বাঘ কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Class 6 Bengali Bagh Question Answer

বঙ্গ আমার জননী আমার প্রশ্ন উত্তর | Bongo Amar Jononi Amar Question Answer | Class 6

শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস প্রশ্ন উত্তর | Class 6 Bengali Shahid Jatindra Nath Das Question Answer

ধরাতল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Dhoratol Bengali Poem Question Answer | Class 6

মোরা দুই সহোদর ভাই কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Class 6 | West Bengal Board

হাবুর বিপদ প্রশ্ন উত্তর | Habur Bipod Question Answer | Class 6 | West Bengal Board

কিশোর বিজ্ঞানী কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Kishore Bigyani Question Answer | Class 6 | West Bengal Board

ননীদা নট আউট প্রশ্ন উত্তর (মতি নন্দী) | Nonida Not Out Question Answer | Class 6 | Wbbse

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment