মন ভালো করা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | শক্তি চট্টোপাধ্যায় | Mon Valo Kora Question Answer | Class 6 | Wbbse

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 6 এর মন ভালো করা কবিতার প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেনীর পাঠ্যবইতে শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর লেখা মন ভালো করা গল্প রয়েছে। কবিতার শেষে যে সব প্রশ্নপত্র গুলি রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

মন ভালো করা

শক্তি চট্টোপাধ্যায়


কবি পরিচিতি

কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বহড়ুতে, ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ নভেম্বর। তাঁর বাবার নাম বামানাথ চট্টোপাধ্যায়, মায়ের নাম কমলা দেবী। তিনি প্রথমে কাশিমবাজার স্কুলে, পরে প্রেসিডেন্সি কলেজে, তারপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞাপন কোম্পানিতে, প্রকাশন সংস্থায়, সংবাদপত্রের অফিসে কাজ করেছেন। তিনি ‘রূপচাঁদ পক্ষী’ ও ‘স্ফুলিঙ্গ সমাদ্দার’ ছদ্মনামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লিখেছেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ’। তাঁর অন্যান্য বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ—যেতে পারি কিন্তু কেন যাব, হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান, সোনার মাছি খুন করেছি, ধর্মে আছো জিরাফেও আছো, হেমন্ত যেখানে থাকে, প্রভু নষ্ট হয়ে যাই, ছিন্নবিচ্ছিন্ন প্রভৃতি। তাঁর কয়েকটি উপন্যাস-অবনী বাড়ি আছো, দাঁড়াবার জায়গা, কুয়োতলা। মেঘদত, ওমর খৈয়াম প্রভৃতি অনুবাদ করেছেন। ‘কবিতা সাপ্তাহিকী’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। তিনি সুরেশচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়।

হাতে কলমে

১.১ শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোন্ কলেজের ছাত্র ছিলেন ?

উত্তর : শক্তি চট্টোপাধ্যায় কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন।

১.২ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তর : শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম – ক) যেতে পারি কিন্তু কেন যাব? খ) হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান।

২. নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্য রচনা করো : হ্রস্ব, খর, শান্ত।

উত্তর :
হ্রস্ব – দীর্ঘ : সাহারার দীর্ঘ মরুভূমি পাড়ি দেওয়া অতো সহজ কাজ নয়।

খর — নরম : শ্যামার নরম গান বেহুলা শুনেছিল ভেলায় চড়ে স্বর্গে পাড়ি দেবার সময়।

শান্ত —অশান্ত : বেশ কিছু দিন ছেলের কোনো খবর না পেয়ে বাবার মন অশান্ত হয়ে আছে।

৩. নীচের শব্দগুলি কোন্ মূল শব্দ থেকে এসেছে লেখো : রোদ্দুর, গা

উত্তর : রোদ্দুর—রোদ। গা—শরীর।

8. “হাওয়ায়-বাতাসে পাতারাও নড়ে”–হাওয়া-বাতাসের মতো একই অর্থবোধক পাঁচটি শব্দবন্ধ রচনা করে স্বাধীন বাক্যে প্রয়োগ করো।

উত্তর : বিপদ-আপদ – নদীর ধারের সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে সাবধানে গাড়ি চালাবে, যাতে কোনো বিপদ-আপদ না ঘটে।

হাটবাজার — ধর্মঘটের ফলে হাটবাজার সব বন্ধ।

চোর-ডাকাত — ইদানিং আমাদের পাড়ায় চোর-ডাকাতের খুব উৎপাত বেড়েছে।

হাসিখুশি — হাসিখুশিভাবে জীবন কাটালে অনেক রোগ এড়ানো যায়।

দায়-দায়িত্ব —– সংসারের প্রতি কি তোমার কোনো দায়-দায়িত্ব নেই, সব কাজ ফেলে দিনরাত কেবল টো-টো করে ঘুরে বেড়াচ্ছো ?

৫. মন ভালো করা, নীল-নীলান্ত’র মতো একাধিক শব্দ বন্ধ তৈরি করো।

উত্তর : ‘মন-ভালো-করা’-র মতো শব্দবন্ধের উদাহরণ— বসে আঁকো-প্রতিযোগিতা, নাম-না-জানা-পাখি, সবুজ-বাঁচাও-কমিটি।

“নীল-নীলান্ত’ব মতো শব্দবন্ধের উদাহরণ— দূর-দুরান্ত, তল-তলান্ত, দিগ্‌-দিগন্ত, ডুব-ডুবন্ত, হাওয়া-বাতাস, ভুল-ভুলাইয়া, শাপ-শাপান্ত, দেনা-পাওনা।

৬. গদ্যে লেখো : মন ভালো করা রোদ্দুর কেন/মাছরাঙাটির গায়ের মতন?

উত্তর : মন ভালো করা রোদ কেন মাছরাঙার গায়ের মতো?

৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো।

৭.১ কবিতায় কবিমনে কোন্ কোন্ প্রশ্ন জেগেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর : শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘মন ভালো করা’ কবিতায় কবির মনে নানা প্রশ্ন জেগেছে। প্রথমত, মন ভালো করা রোদ্দুর কেন মাছরাঙার গায়ের রঙের মতো? দ্বিতীয়ত, কেন মাছরাঙার রঙ উগ্র ও শান্ত, লাল-হলুদ-সবুজ কেন? তৃতীয়ত, বন কেন লাল, হলুদ ও সবুজাভ।

৭.২ মন ভালো-করা রোদ্দুরকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন ?

উত্তর : মন-ভালো-করা রোদ্দুরকে কবি মাছরাঙার গায়ের রঙের সাথে তুলনা করেছেন।

৭.৩ মাছরাঙা পাখির রং কবির চোখে কীভাবে ধরা পড়েছে?

উত্তর : কবির ভাষায় মাছরাঙার রং গাঢ় নীল উজ্জ্বল; কোথাও রয়েছে লাল, হলুদ, সবুজ রঙেরও ছড়াছড়ি।

৭.8 গাছের ডালে বসা মাছরাঙা পাখিটি কীভাবে কবি কল্পনাকে প্রভাবিত করেছে তা বুঝিয়ে দাও ।

উত্তর : গাছে বসে আছে উজ্জ্বল গাঢ় নীল রঙা পাখি। তার ঘন উজ্জ্বল রং কবিকে নানাভাবে আকর্ষণ করছে। এই পাখিটির নাম মাছরাঙা। কবিকে শুধু আকর্ষণ নয়, নানাভাবে প্রভাবিত করেছিল। কবির মনে হয়েছে মন ভালো করা রোদের রং নীল, মাছরাঙাটির গায়ে আলো পড়লে তবে হাওয়ায় বাতাসে পাতারাও নড়ে। মাছরাঙার রং ঘন হলেও নীল-আকাশ জুড়ে তা একেবারেই শান্তরূপ ধারণ করেছে। কবির মনে বারবার প্রশ্ন জেগেছে কেন মন ভালো করা রোদ্দুর মাছরাঙাটির গায়ের মতো ?

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

১. ‘মন ভালো-করা’ কবিতাটির এমন নাম করণের কারণ কী ?

উত্তর: মাছরাঙা পাখির গায়ে নানা রঙের সমাহার – লাল, হলুদ, নীল, সবুজ। কবি মাছরাঙার গায়ের রঙের সঙ্গে রোদেরও যথেষ্ট মিল পেয়েছেন। সকালে রোদের রং লাল, দুপুরে কবির চোখে রোদের রং হলুদ আবাব সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে পড়া রোদকে কবি সবুজ দেখেছেন। রোদ কবির চোখে অসাধারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। মাছরাঙার গায়ের রং আর রোদ মিলে কবির মনকে ভালোলাগায় ভরিয়ে তুলেছে। তাই মন ভালো-করা নামকরণটি উপযুক্তই হয়েছে।

২. কেন ওর রং খর ও শান্ত’–এই শব্দ কয়টি দ্বারা কীভাবে মাছরাঙা ও রোদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তর : বিভিন্ন রঙের মিশ্রণে মাছরাভার শরীরের রং অতি উজ্জ্বল কিন্তু তা স্নিগ্ধ বা শান্ত। একইভাবে রোদও কখনও খর আবার কখনও শান্ত। দুপুরের রোদ প্রখর ও তীব্র কিন্তু সকালের ও বিকালের রোদ শান্ত বা স্নিগ্ধ।

৩. নীচের শব্দগুলির পদ পরিবর্তন করো : দীর্ঘ, নীল, রং, আলো, l

উত্তর : দীর্ঘ (বিশেষণ)—দৈর্ঘ্য (বিশেষ্য)। নীল (বিশেষ্য)–নীলাভ (বিশেষণ)। রং (বিশেষ্য) -রঙিন (বিশেষণ)। আলো (বিশেষ্য)-আলোকিত (বিশেষণ) ।

আরো পড়ুন

ভরদুপুরে কবিতা | নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী | প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা

শঙ্কর সেনাপতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়

খোলামেলা দিনগুলি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | শান্তিসুধা ঘোষ

পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | হাইনরিখ হাইনে

পশুপাখির ভাষা গল্পের প্রশ্ন উত্তর | সুবিনয় রায়চৌধুরী

ঘাসফড়িং কবিতার প্রশ্ন উত্তর | অরুণ মিত্র

কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য

চিঠি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | জসীমউদ্দিন

হাট কবিতার প্রশ্ন উত্তর | যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

1 thought on “মন ভালো করা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | শক্তি চট্টোপাধ্যায় | Mon Valo Kora Question Answer | Class 6 | Wbbse”

Leave a Comment

error: Content is protected !!