Class 10 Bangla (বাংলা) Model Activity Task Part 7 October 2021 Answer With Pdf

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 7, October 2021

Class-10, দশম শ্রেণি

বিষয়ঃ  বাংলা (প্রথম ভাষা)


 

১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

১.১ ‘হরিদার জীবনে সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য আছে। হরিদার জীবনের বৈচিত্র্যকে ‘নাটকীয়’ বলা হয়েছে কেন? 

উত্তরঃ কথা সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পের প্রধান ও কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা । হরিদা একজন বহুরূপী অর্থাৎ বহুরূপী সেজে ঘুরে বেড়ানোই তার জীবনের পেশা ও নেশা । হরিদা কখনোই একটি চরিত্রে বহুরুপ ধারণ করেননি , সপ্তাহে একদিন ভিন্ন ভিন্ন বহু রূপ ধারণ করে পথে বের হন । কখনো সেজেছেন উন্মাদ পাগল, কখনো বাইজি আবার কখনো বা পুলিশ । বাউল, কাপালিক, কাবুলিওয়ালা, ফিরিঙ্গি, কেরামিন সাহেব সেজেও হরিদা সকলের নজর কেড়েছেন । জগদীশ বাবুর বাড়িতে বিরাগী সেজে গিয়েছিলেন তার কাছের বন্ধুরাও তাকে চিনতে পারেনি । আসলে হরিদার জীবন একটা কিন্তু তার সেই জীবন বৈচিত্রময় । নাটকের বিভিন্ন চরিত্রের মতই তিনিও ভিন্ন ভিন্ন দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন । এইভাবে একা হরিদাই নাটকের বহু চরিত্র ও বহু রসের উপভোগ্যতা এনে নিজেকেই যেন নাটকীয় বৈচিত্রে  পরিপূর্ণ করছেন ।

১.২ ‘কি হেতু মাত:, গতি তব আজি / এ ভবনে?’ – বক্তা কাকে ‘মাত:সম্বােধন করেছেন? তার আগমনের কারণ কী?

উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত “অভিষেক” কাব্যাংশে প্রমোদ উদ্যানে অবস্থানরত লঙ্কার শ্রেষ্ঠ বীর মেঘনাথ তার ধাত্রীমাতা প্রভাসার ছদ্মবেশ ধরণী লঙ্কার কুললক্ষ্মী কে “মাত” সম্বোধন করেছেন ।

আগমনের কারণ : আগমনের কারণ এবং লঙ্কার কুশল সম্পর্কে জিজ্ঞাসার প্রত্যুত্তরে ছদ্দবেশী অম্বুরাশি সুতা লক্ষী জানিয়েছেন যে স্বর্ণালঙ্কার করুণ দশার কথা বর্ণনীয় নয় । মেঘনাথ এর উদ্যানে আগমনের পর রাঘব রাম চন্দ্র তার প্রিয় ভাতা বীরবাহু কে হত্যা করেছে । পুত্র শোকে চরম আঘাত বক্ষে ধারণ করেও পিতা রাক্ষসরাজ শ্রাবণ প্রতিশোধ গ্রহণে বদ্ধপরিকর হয়েছেন । তিনি যুদ্ধযাত্রার জন্য সৈন্য যুদ্ধ সাজে সেজে উঠেছেন ।

 

১.৩ ‘হায়, বিধি বাম মম প্রতি।’ – বক্তা কে? তার এমন মন্তব্যের কারণ বিশ্লেষণ করাে।

উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত “অভিষেক” কাব্যাংশে বেদনার্ত উক্তিটি করেছেন রাক্ষসাদিপতি দশানন রাবণ ।

      রাক্ষসরাজ রাবণ প্রবল পুরুষাকারের পতিমূর্তি । তার শোর্য – বীর্যের কাছে হার মেনেছে ত্রিভুবন । তবুও তিনি আজ বেদনার্ত , তার কণ্ঠস্বরে আপেক্ষিক সুর প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠছে । আসলে তিনি বিধাতার বিরূপতার শিকার হতে চলেছেন । তার প্রিয় কনিষ্ঠ পুত্র বীরবাহু এবং তার প্রিয় ভাতা কুম্ভকর্ণ নিহত হয়েছেন । শত্রু রাঘব নিহত হয়েও পুনর্জীবিত হয়ে উঠেছে । শুধু তাই নয় শিলা জলে ভাসিয়ে রাঘব সৈন্যরা লঙ্কা ভূমিতে প্রবেশ করেছে । এইসব ঘটনা ধারা থেকেই রাক্ষসরাজ রাবণের মনে হয়েছে তার যে তার প্রতি বিধি বাম হয়েছে। 

১.৪ “ওরে ওই স্তব্ধ চরাচর!’ – ‘চরাচর’ শব্দের অর্থ কী? সেখানে স্তব্ধতা বিরাজমান কেন ?

উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলামের লেখা “প্রলয়োল্লাস” কবিতা টি  দেশ প্রেমের কবিতা । এই কবিতায় স্বাধীনতার মুক্তি পিয়াসী বিপ্লবীদের বীরত্বকে  মহাকালের প্রলয় নাচন এর রূপ কে বর্ণনা করেছেন। ভয়ঙ্কর মহাকাল যেন প্রলয়ের নেশায় মত্ত । তার কোলে আছে রক্তমাখা তরবারি । তার কেসের ঝাপটায় গগন দুলে উঠে , আর জ্বালামুখী ধুমকেতু তার পূচ্ছ নাচিয়ে মহাকালের বা মুক্তিদাতার আগমন সূচিত করেছে । প্রলয়ের কলে মহাকালরুপি বিপ্লবীদের অট্টরোলে চরাচর স্তব্ধ হয়ে আছে । চরাচর যেনো বিপ্লবীদের দুর্দম শক্তিকে নতমুখে স্বাগত জানাচ্ছে ।

 

১.৫ ‘দেখি তােমার ট্যাঁকে এবং পকেটে কী আছে?’ – উদ্দিষ্ট ব্যক্তির ট্যাঁক এবং পকেট থেকে কী কী পাওয়া গিয়েছিল? 

উত্তরঃ কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী পাঠ্যাংশ গিরিশ মহাপাত্রের ট্যাক থেকে এক টাকা ও গন্ডা ছয়েক পয়সা পাওয়া গিয়েছিল । এবং তার পকেট থেকে একটা লোহার কম্পাস, মাফ করার কাঠের একটা ফুটরুল, কয়েকটা বিড়ি, একটি দেসলাই ও একটি গাজার কল্কে পাওয়া যায় ।

 

২. নিম্নরেখ পদগুলির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করাে :

২.১ তােরা সব জয়ধ্বনি কর! 

উত্তরঃ জয়ধ্বনি = জয় সূচক ধনী (মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস)

 

২.২ দেবতা বাঁধা যজ্ঞ-যুপে পাষাণ-পে! 

উত্তরঃ যজ্ঞ-যুপে = যজ্ঞ ও যুপে (দ্বন্দ্ব সমাস)

 

২.৩ আমি এখন তবে চললুম কাকাবাবু। 

উত্তরঃ কাকাবাবু = কাকা যে বাবু (কর্মধারায় সমাস)

 

২.৪ হিন্দু-মুসলমানের মাতৃভূমি গুলবাগ এই বাংলা। 

উত্তরঃ হিন্দু-মুসলমান = হিন্দু ও মুসলমান (দ্বন্দ্ব সমাস) 

 

২.৫ তার শােকে মহাশােকী রাক্ষসাধিপতি

উত্তরঃ রাক্ষসাধিপতি = রাক্ষস দের অধিপতি (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)

 

 

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!