Class 10 Geography (ভূগোল) Model Activity Task Part 7 October 2021 Answer With Pdf

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক PART 7, OCTOBER 2021

CLASS-10, দশম শ্রেণি

বিষয়ঃ  ভূগোল


 

১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে : 

 

১.১ মরু অঞলের শুষ্ক নদীখাত হলাে – ক) প্লায়া খ) হামাদা গ) মরূদ্যান ঘ) ওয়াদি 

উত্তরঃ ওয়াদি

১.২ যে ক্ষয়কারী প্রক্রিয়া নদীর ক্ষয়কাজের সঙ্গে যুক্ত নয় সেটি হলাে – ক) অবঘর্ষ খ) অপসারণ গ) ঘর্ষণ ঘ) দ্রবণ 

উত্তরঃ অপসারণ

১.৩ উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞার প্রভাব লক্ষ করা যায় – ক) শীতকালে খ) গ্রীষ্মকালে গ) বর্ষাকালে ঘ) শরৎকালে 

উত্তরঃ শীতকালে

১.৪ ভারতের বৃহত্তম তথ্য প্রযুক্তি শিল্প কেন্দ্র হলাে – ক) কলকাতা খ) হায়দ্রাবাদ গ) বেঙ্গালুরু ঘ) চেন্নাই 

উত্তরঃ বেঙ্গালুরু

 

২. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :

 

২.১ বায়ুর প্রবাহপথে আড়াআড়ি অবস্থিত বালিয়াড়ি কী নামে পরিচিত? 

উত্তরঃ তির্যক বালিয়াড়ি ।

 

২.২ হিমবাহের উৎপাটন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপের নাম লেখাে। 

উত্তরঃ করি বা সার্ক ।

 

২.৩ ভারতের উপদ্বীপীয় মালভূমির একটি স্তুপ পর্বতের নাম লেখাে।

উত্তরঃ সহ্যাদ্রি বা পশ্চিমঘাট পর্বত ।

 

২.৪ ভারতের কোন মৃত্তিকা কার্পাস চাষের পক্ষে আদর্শ? 

উত্তরঃ কৃষ্ণ মৃত্তিকা বা কালাে মাটি ।

 

৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

 

৩.১ বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনার দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করাে।

উত্তরঃ

বহুমখী নদী পরিকল্পনার উদ্দেশ্য : –

১. জলসেচের প্রসার : – 

নদীর নিম্ন ও উচ্চ অববাহিকার অধিক পরিমাণ কৃষি জমিতে জলসেচের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নদীর উপর বাঁধ দিয়ে জলাধার নির্মাণ করা হয়ে থাকে । এর ফলে কৃষি জমি গুলিতে প্রয়ােজন মতাে জলসেচ করা সম্ভব হয় এবং উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । 

 

২. বন্যা নিয়ন্ত্রণ : –

 নদীর নিম্ন অববাহিকায় জলাধার নির্মাণের মাধ্যমে বর্ষার অতিরিক্ত জলকে ধরে রেখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা হয় ।

 

৩.২ ভারতীয় কৃষির সমস্যা সমাধানের যে কোনাে দুটি উপায় উল্লেখ করাে। 

উত্তরঃ

ভারতীয় কৃষি সমস্যা সমাধানের উপায় ভারতীয় কৃষি সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত উপায়গুলি অবলম্বন করা যেতে পারে । যথা –

 

 ১. উন্নত সার ও বীজ : সংক্রান্ত গবেষণায় উৎসাহদান : উন্নত বীজ , সংকর বীজ তৈরি , রাসায়নিক সার উৎপাদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়ােজনীয় গবেষণার পরিকাঠামাে তৈরি করা প্রয়ােজন । এক্ষেত্রে সরকারি আর্থিক সহায়তা দরকার

 

 ২. কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান : গরিব ও ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের অল্প সুদে কৃষিঋণ প্রদান এবং সার – বীজ – যন্ত্রপাতি কেনার জন্য বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে গ্রামীন বিকাশ ব্যাংক , সমবায় ব্যাংক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা ।

 

৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :

 

৪.১ ‘ভারতীয় পরিবহন ব্যবস্থায় সড়কপথের গুরুত্ব অপরিসীম’ – বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করাে।

উত্তরঃ

ভারতীয় পরিবহন ব্যবস্থায় সড়ক পথের গুরুত্ব অপরিসীম : ভারতের মতাে বিশাল দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের যােগাযােগ ও পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে সড়কপথের গুরুত্ব অপরিসীম । 

 

১ ) গ্রামীণ উন্নতি : – বহু গ্রামাঞ্চলে এখনও রেলপথ বা অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি । এইসব গ্রামাঞ্চলের সঙ্গে শহর , বাজার , শিক্ষাকেন্দ্র , শিল্পকেন্দ্রের একমাত্র যােগাযােগের মাধ্যম হল সড়কপথ ।

 

 ২) পণ্য পরিবহণ : – কৃষিজ , বনজ , প্রানীজ , খনিজ প্রভৃতি সকল প্রকার পণ্য পরিবহণে সড়কপথের গুরুত্ব অপরিসীম ।

 

 ৩ ) শিল্পের বিকাশ : – ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সকল প্রকার শিল্পের প্রয়ােজনীয় কাচামাল , যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও শিল্পজাত দ্রব্য বাজারে পাঠানাের ক্ষেত্রে সড়কপথের গুরুত্ব অপরিসীম ।

 

৪ ) আমদানি – রপ্তানি : – আমদানি – রপ্তানি বানিজ্যের ক্ষেত্রে বন্দরগুলাের সঙ্গে পশ্চাদভূমির যােগাযােগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম হল সড়কপথ ।

 

৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :

 

৫.১ ভারতের জগবন্টনের তারতম্যের প্রাকৃতিক কারণগুলি বর্ণনা করো ।

উত্তরঃ  ভারতের জনবন্টনের তারতম্যের প্রাকৃতিক কারণ : 

১ ) ভূ – প্রকৃতি : – ভারতের গঙ্গা , সিন্ধু , ব্রহ্মপুত্র ও অন্যান্য নদী অববাহিকা অঞ্চল এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল সমতল হওয়ায় তা কৃষি , শিল্প , ব্যবসা বণিজ্য ও পরিবহন ব্যবস্থায় উন্নত । তাই সমভূমি অঞ্চলগুলিতে বেশি মানুষ বসবাস করেন এবং জনঘনত্ব বেশি হয় । আবার হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল ও বিভিন্ন মালভূমি অঞ্চলগুলির ভূ – প্রকৃতি উঁচু – নিচু বা বন্ধুর হওয়ায় সেখানে কৃষি , শিল্প , ব্যবসা – বাণিজ্য ও পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তােলা কষ্টসাধ্য এবং ব্যয় সাপেক্ষ । তাই এই সমস্ত অঞ্চলে কম মানুষ বসবাস করেন এবং জনঘনত্ব কম হয় ।

 

২ ) জলবায়ু : – ভারতের সমুদ্র উপকূলবর্তী রাজ্যগুলির জলবায়ু মনােরম হওয়ায় সেগুলির জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বেশি । অপরদিকে উত্তর – পূর্ব ভারতের পাহাড়ি রাজ্যগুলির জলবায়ু সঁতসেঁতে বলে এবং উত্তর – পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির জলবায়ু শুষ্ক বলে সেগুলির জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব অপেক্ষাকৃত কম ।

 

৩ ) মৃত্তিকা : – ভারতের যে সমস্ত অঞ্চলের মৃত্তিকা উর্বর সেই সমস্ত অঞ্চলে কৃষিকাজ ভালাে হয় বলে জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বেশি হয় । অপরদিকে যে সমস্ত অঞ্চলের মৃত্তিকা অনুর্বর , সেই সমস্ত অঞ্চলে কৃষিকাজ ভাল হয় না বলে জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব কম হয় । যেমন – গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের মৃত্তিকা উর্বর হওয়ায় সেখানে কৃষিকাজের উন্নতি হেতু বেশি মানুষ বসবাস করেন । অপরদিকে ছােটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলের ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা অনুর্বর হওয়ায় সেখানে অপেক্ষাকৃত কম মানুষ বসবাস করেন ।

 

৪ ) নদ – নদী : – উত্তর ভারতের গঙ্গা , সিন্ধু , ব্রহ্মপুত্র এবং দক্ষিণ ভারতের মহানদী , গােদাবরী , কৃষ্ণা , কাবেরী প্রভৃতি নদী অববাহিকার জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বেশি । কারণ এইসব নদী থেকে কৃষিকাজের প্রয়ােজনীয় জলসেচ , জলবিদ্যুৎ উৎপাদন , জলপথে পরিবহন , পানীয় জল সরবরাহ ইত্যাদি নানা রকম সুযােগ – সুবিধা পাওয়া যায় । এছাড়া এইসব নদী অববাহিকার উর্বর সমতলভূমিতে কৃষি , শিল্প , ব্যবসা – বাণিজ্য ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে বলেও বেশি সংখ্যক মানুষ বসবাস করেন ।

 

৫ ) খনিজ সম্পদ : – কোন অঞ্চলে মূল্যবান খনিজ সম্পদ পাওয়া গেলে সেখানে কর্মসংস্থানের সুযােগ ঘটে এবং অধিক সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে । ফলে ওই অঞ্চলটির জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বৃদ্ধি পায় । যেমন – একসময় ছােটনাগপুর মালভূমি অঞ্চল জনবিরল ছিল । কিন্তু পরবর্তীকালে বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদ আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে বর্তমানে ওই অঞ্চলের জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment