মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
দশম শ্রেণি
বাংলা
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১.১ ‘জগদীশবাবু যে কী কাণ্ড করেছেন, শোনেননি হরিদা?’ জগদীশবাবু কে? কাণ্ডটি কী?
উত্তর : বিশিষ্ট গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত “বহুরূপী” গল্পের অন্যতম পার্শ্বচরিত্র হলেন জগদীশবাবু – তিনি ধর্মপ্রাণ ও সমৃদ্ধশালী ব্যক্তি হলেও যথেষ্ট কৃপণ ছিলেন।
জগদীশবাবুর বাড়িতে এক হিমালয়বাসী সন্ন্যাসী এসে সাতদিন ছিলেন। রাড়িতে আগত সেই ‘উঁচু দরের’ সন্ন্যাসী কাউকে নিজের পদধূলি সংগ্রহ করতে দিতেন না। কিন্তু ধর্মপ্রাণ জগদীশবাবু সন্ন্যাসীকে সোনার ব্রোল দেওয়া খড়ম পরিয়ে সুকৌশলে ‘দুর্লভ’ সেই পদধূলি সংগ্রহ করেছিলেন এবং সন্ন্যাসীকে বিদায় দেওয়ার সময় একশো টাকা প্রণামিও দিয়েছিলেন। প্রদত্ত অংশে জগদীশবাবুর এই ‘কান্ড’টির কথা বলা হয়েছে।
১.২ ‘খুবই গরিব মানুষ হরিদা।’হরিদার পরিচয় দাও। তাঁর দারিদ্র্যের ছবি ‘বহুরূপী’ গল্পে কীভাবে প্রতিভাসিত হয়েছে?
উত্তর : জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা I তিনি খুবই গরিব মানুষ। পেশাগত দিক থেকে তিনিএকজন বহুরূপী।
গল্পের নায়ক হরিদা পেশায় বহুরূপী। কিন্তু বহুরূপী সেজে তার অর্থ উপার্জন তেমন হয় না। যদিও হরিদা শিল্পীসুলভ নেশার টানে কখনও পাগল, বাউল বা কাপালিক সাজেন, কখনও বা সাজেন বুড়ো কাবুলিওয়ালা, পুলিশ বা রূপসি বাইজি। পরিচিতরা তার এই বহুরূপীর সাজে মুগ্ধ হলে এক আনা বা দু-আনা বকশিশ দেয়। অপরিচিতরা বিরক্তির সঙ্গে হাতে তুলে দেয় দুটো একটা পয়সা। সপ্তাহের একটা দিনের এই সামান্য রোজগারে হরিদার সংসারের দুঃসহ অভাব ঘোচে না। সারা সপ্তাহের ক্ষুধানিবৃত্তির অন্নসংস্থান হয় না। তাই হরিদার উনানের হাঁড়িতে অনেক সময় শুধু ফেলার জল ফোটে, ভাত ফোটে না I
১.৩ ‘কি হেতু, মাতঃ, গতি তব আজি এ ভবনে?’ – বক্তা কাকে ‘মাতঃ’ সম্বোধন করেছেন? তিনি এই প্রশ্নের কী উত্তর দিয়েছেন?
উত্তর : কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘অভিষেক’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া প্রশ্নোক্ত উদ্ধৃতিটির বক্তা হলেন ইন্দ্রজিৎ। তিনি প্রভাষা রাক্ষসীর ছদ্মবেশে প্রমোদ উদ্যানে আগতা দেবী লক্ষ্মীকে এ কথা বলেছেন।
উদ্দিষ্ট প্রভাষারূপী ছদ্মবেশী শ্রীলক্ষ্মী রাম-রাবণের মহাসংগ্রামে আগমনের কারণ মেঘনাদের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা বীরবাহুর মৃত্যুর দুঃখজনক সংবাদ এবং লঙ্কেশের সমরাভিযানের উদ্যোগের বার্তা দিয়েছেন I
১.৪ এ মায়া, পিতঃ, বুঝিতে না পারি!’ বক্তা কে? কোন মায়া তার বোধের অগম্য ?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর অন্তর্গত ‘অভিষেক’পাঠ্যাংশে প্রদত্ত অংশটির বক্তা হলেন রাবণনন্দন ইন্দ্রজিৎ রা মেঘনাদ।
বীরশ্রেষ্ঠ মেঘনাদ নিশারণে পরাজিত এবং নিহত রামচন্দ্রের পুনর্জীবন লাভের মায়াবী ঘটনা বুঝে উঠতে পারেননি। মেঘনাদ দু-বার রামচন্দ্রকে পরাজিত ও নিহত করেছেন। কিন্তু দৈববলে বলীয়ান রাঘব দৈবী আশীর্বাদে বেঁচে উঠে বারবার স্বর্ণলঙ্কাকে আক্রমণ করেছেন। ‘মায়াবী-মানব সীতাপতি’র এই পুনর্জীবন লাভ মেঘনাদের কাছে ‘মায়া’ বলে মনে হয়েছে।
১.৫ ‘ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা’– কার প্রতি এরূপ মন্তব্য? বক্তা কোন পরিস্থিতিতে মন্তব্যটি করেছেন?
উত্তর : প্রখ্যাত নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশে মুরশিদাবাদের নবাব সিরাজদ্দৌলা, তাঁর দরবারে উপস্থিত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটসের উদ্দেশে প্রশ্নোঘৃত কথাটি বলেছেন।
বণিকের ছদ্মবেশে আগত ইংরেজ ক্রমাগত শক্তি প্রদর্শনে ভারতকে পরিণত করতে চায় তাদের উপনিবেশে। অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে এদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে তারা। ইংরেজ আগ্রাসনে বীতশ্রদ্ধ হয়ে বাংলার তৎকালীন নবাব সিরাজ ইংরেজ দমনে তাদের প্রধান বাণিজ্যঘাঁটি কলকাতা দখল করেন। প্রতিশোধস্পৃহায় ইংরেজরা প্রতিযুদ্ধে উদ্যত হয় এবং অবশেষে উভয়পক্ষে স্বাক্ষরিত হয় ‘আলিনগরের সন্ধি’। সন্ধির শর্তরক্ষার জামিনস্বরূপ ওয়াটসকে মুরশিদাবাদে রাখা হয়। কিন্তু ঘটনাচক্রে ওয়াটসকে লেখা ব্রিটিশ অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের গোপন পত্র নবাবের হস্তগত হলে সিরাজ জানতে পারেন যে, লর্ড ক্লাইভের নেতৃত্বে এবং ওয়াটসনের উদ্যোগে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ইতিমধ্যেই গোপনে সৈন্যসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ক্লাইভের পরিকল্পনামাফিকই তারা সন্ধিভঙ্গে যুদ্ধযাত্রায় উদ্যত; এমনকি ব্রিটিশ প্রতিনিধি ওয়াটস নবাব-বিরোধী এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার। তার প্ররোচনায় সেদিন সভাসদেরাও নবাবের বিরূপ। ইংরেজের স্পর্ধা, ঔদ্ধত্য এবং দুরভিসন্ধিতে ক্ষুব্ধ নবাবের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে প্রশ্নোধৃত অংশে।
১.৬ “মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ, ওর দৃষ্টিতে আগুন, ওর অঙ্গ সঞ্চালনে ভূমিকম্প। – উদ্ধৃতিটির আলোকে ঘসেটি বেগমের চরিত্রবৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
উত্তর : শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশে ঘসেটি বেগম চরিত্রটি এক স্বার্থান্বেষী, প্রতিহিংসাপরায়ণা, কূটনারী চরিত্র হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে। নবাব আলিবর্দি খাঁর জ্যেষ্ঠা কন্যা মেহেরুন্নিসা ওরফে ঘসেটি বেগম ছিলেন সম্পর্কে সিরাজের মাসি। ঘসেটি চেয়েছিলেন আলিবর্দির অবর্তমানে বাংলার মসনদে বসবেন তার স্বামী। কিন্তু স্বামীর অকালমৃত্যুতে তার সে ইচ্ছাপূরণ হয়নি। অন্যদিকে তার পুত্রেরও মসনদপ্রাপ্তি অধরাই থেকে যায়। বোন আমিনার ছেলে সিরাজ মসনদে অধিষ্ঠিত হলে ঘসেটি বেগম ক্রুদ্ধ ও হিংস্র হয়ে ওঠে এবং সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
প্রতিহিংসাপরায়ণা : ঘসেটি সিরাজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও অভিসম্পাত করেছে কিন্তু রাজনৈতিক কারণেই সিরাজ ঘসেটিকে গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন। তাতে ঘসেটি আরও প্রতিহিংসাপরায়ণা হয়ে ওঠে। ঘসেটির মুখেই সেই প্রতিহিংসার কথা প্রকাশ পায়–“আমার রাজ্য নাই, তাই আমার কাছে রাজনীতিও নাই আছে শুধু প্রতিহিংসা।” এই প্রতিহিংসা তার পূর্ণ হবে সেইদিন যেদিন সিরাজের প্রাসাদ অপরে অধিকার করবে, তাঁকে সিংহাসন থেকে ঠেলে ফেলে শওকতজঙ্গের মতো কেউ হত্যা করবে। সিরাজ-বিরোধী ষড়যন্ত্রে সে ছিল প্রধান ব্যক্তি।
দেশদ্রোহী : ঘসেটি চেয়েছিল অপুত্রক আলিবর্দির অবর্তমানে সিংহাসনের অধিকার পাবে তার স্বামী, তা না হলে পালিত পুত্র শওকতজঙ্গের সম্ভাবনাও যখন সিরাজের কারণে অসম্ভব হয়, তখন নবাব-বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে, ইংরেজ তোষণে বাংলার পতন ডেকে আনতেও পিছপা হয়নি সে।
অমানবিক: শুধুমাত্র রাজ্যলোভে সন্তানতুল্য সিরাজের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে ঘসেটি। এই চরিত্রে নারীসুলভ সুকুমার মনোবৃত্তি লুপ্ত হয়ে কর্কশ নির্মমতা প্রকাশ পেয়েছে। ঘসেটির সঙ্গে থাকতে লুৎফ্ফার ভয় হয়। “মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ, ওর দৃষ্টিতে আগুন, ওর অঙ্গ সঞ্চালনে ভূমিকম্প!” নবাবের সকল চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রধান বিদ্রোহিণী ঘসেটি বেগম।
স্বার্থান্বেষী : স্নেহময়ী নারীর কোনো স্বভাববৈশিষ্ট্য ঘসেটির মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই সে মানবী নয়, দানবী। সিরাজ তাকে মায়ের সম্মান দিয়েছিলেন কিন্তু ঘসেটির মধ্যে মায়ের স্নেহ ছিল না। ছিল তীব্র প্রতিহিংসার দহনজ্বালা। এক কুচক্রী স্বার্থান্বেষী, প্রতিহিংসাপরায়ণা কূট নারী হিসেবেই নাট্যাংশে ঘসেটির উপস্থিতি। ঘসেটির চরিত্রে যুগোপযোগিতা ও বাস্তবতার প্রমাণ এই যে, সিরাজের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে সে নিজের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার পথকে প্রশস্ত করেছিল।
১.৭ ‘আলো তার ভরবে এবার ঘর!’- কোন আলোয় ঘর ভরে উঠবে?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে বর্ণিত ঘর ভরে উঠবে শিশুর মতো নিষ্পাপ চন্দ্রকলার পবিত্র আলোয়—যে আলো তরুণ বিপ্লবীদলকে মুক্তির পথ দেখাবে।
দেশমাতৃকার পরাধীনতার শৃঙ্খলমোচনে মহামন্ত্রে দীক্ষিত যুবসমাজের কাছে দেশ-জন্মভূমি-পৃথিবীই হল ‘ঘর’। ভারতবর্ষের অজ্ঞানতা, অন্ধবিশ্বাস ও পরাধীনতার অন্ধকার দূর করার জন্য তারা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে যে বিপ্লবের আলোকরশ্মি প্রজ্বলন করেছে, তাতে ভরে উঠেছে সমগ্র বিশ্বচরাচর।
১.৮ … আসছে ভয়ংকর।— ভয়ংকরের আগমন পরিস্থিতিটি ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুসরণে আলোচনা করো।
উত্তর : বিদ্রোহী কবি নজরুলের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতার পটভূমি ব্রিটিশ শাসকের অত্যাচারে বিধ্বস্ত ভারতবর্ষ।
চৈত্রের শেষে কালবৈশাখী সমস্ত জীর্ণ পাতা ঝরিয়ে ধুলো উড়িয়ে যে ধ্বংসলীলায় মাতোয়ারা হয়ে যায় সেটাইতো নরসৃষ্টির পূর্বাভাস। ঠিক তেমনই পরাধীন ভারতবর্ষের বুকে স্বাধীনতার লক্ষ্যে যে আন্দোলনের উদ্দাম কালবৈশাখী ঝড় উঠেছে, তা যেন প্রলয় নেশায় নৃত্য পাগল। সে যেন মহাকালের চন্ড রূপ ধারণ করে সিন্ধুপারের ব্রিটিশরাজের সিংহদ্বারের আগল ভাঙছে। ধ্বংসের মধ্য দিয়ে নব সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি নিয়ে অর্থাৎ সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে পরাধীনতাকে সরিয়ে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যেই ভয়ঙ্কর রূপে তার সদর্প আগমন।
১.৯ ‘অপূর্ব কহিল, বেলা হয়ে গেল, আমি এখন তবে চললুম কাকাবাবু।‘ – বেলা কীভাবে গড়িয়ে গেল?
উত্তর : উদ্ধৃতাংশটি কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ থেকে সংগৃহীত। অপূর্ব গত রাতে তার ঘরে ঘটে যাওয়া চুরির খবর জানতে পেরে পুলিশ স্টেশনে গিয়েছিল। সেখানে পুলিশের দলের বিচিত্র কান্ড এবং তামাশা দেখতে দেখতে তার ব্রেলা গড়িয়ে গিয়েছিল।
থানায় ঢুকেই অপূর্ব দেখে যে জনা ছয়েক বাঙালির থানাতল্লাশি হচ্ছে। তারপর বিশিষ্ট বিপ্লৱীসব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে গিরিশ মহাপাত্র নামে এক অদ্ভুত বেশভূষার অধিকারী গাঁজাখোর ব্যক্তিকে বড়বাবুর সামনে হাজির করা হয়। এরপর গিরিশকে বড়বাবুর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় এবং গিরীশের পক্রেট ও ট্যাক তল্লাশির সময় একটি গাঁজার কল্কে পাওয়া যায়। যদিও গিরিশ ক্রমাগত গাঁজা সেবনের কথা অস্বীকার করে চলে। দীর্ঘক্ষন ধরে গিরিশকে নিয়ে পুলিশ কর্তাদের নানাবিধ জিজ্ঞাসাবাদ ও রক্রোক্তি শুনতে শুনতেই অপূর্বর বেলা গড়িয়ে গিয়েছিল।
১.১০ ‘কৈ এ ঘটনা তো আমাকে বলেন নি?’— বক্তা কাকে একথা বলেছেন? কোন্ ঘটনার কথা বক্তা আগে শোনেননি?
উত্তর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ গদ্যাংশ থেকে উদ্ধৃত অংশটি বক্তা রামদাস তার সহকর্মী বন্ধু অপূর্বের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন।
একবার কয়েকজন ফিরিঙ্গি যুবক বিনা দোষে অপূর্ব কে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দেয়। এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে অপূর্ব ইউরোপীয় না হওয়ার কারণে স্টেশনমাস্টার অভিযোগ শোনার আগেই তাকে কুকুরের মত তাড়িয়ে দেন । অপূর্বর এই নিগ্রহের কথা রামদাস আগে শুনেন নি।
২. ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো: (প্রতিটির মান- ১)
উত্তর :
ভোজ্যবস্তু= ভোজের বস্তু -সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
ভোজনের উপযুক্ত বস্তু – মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস,
পোশাক-পরিচ্ছদ= পোশাক ও পরিচ্ছদ -দ্বন্দ্ব সমাস,
সন্ধ্যাহ্নিক= সন্ধ্যায় পালনীয় আহ্ণিক – মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস,
সৃজন-বেদন= সৃজনের নিমিত্ত বেদন -নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস,
প্রলয়োল্লাস= প্রলয়ের নিমিত্ত উল্লাস -নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস,
রথঘর্ঘর= রথের ঘর্ঘর – সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস,
জয়ধ্বনি= জয়সূচক ধ্বনি -মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস,
সিংহদ্বার= সিংহ চিহ্নিত দ্বার – মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস,
শিশু- চাঁদ= শিশু যে চাঁদ -উপমান কর্মধারয় সমাস,
প্রলয়-নেশা= প্রলয় সৃষ্টি করে যে নেশা -উপপদ তৎপুরুষ সমাস ।
৩. কমবেশি ১৫০ শব্দে প্রতিবেদন রচনা করো : লর্ডসে রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের।
উত্তর :
লর্ডসে রুদ্ধশ্বাস জয় পেল ভারতীয় ক্রিকেট দল
নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৭ই আগস্ট, লর্ডস: লর্ডস টেস্টে ঐতিহাসিক জয় ভারতীয় দলের। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পঞ্চম দিনে ব্যাটে বলে দাপট দেখাল ভারতীয় ক্রিকেটাররা। প্রথমে চাপের মুহূর্তে ৮৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে ২৯৮ রানে পৌছে দেয় মহম্মদ শামি ও জসপ্রীত বুমরা৷ অর্ধশতরান করেন মহম্মদ শামি। ইংল্যান্ডের ২৭ রানের লিড বাদ দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭২ রানের টার্গেট (দেয় টিম ইন্ডিয়া। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই লাগাতার ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে বাড়তে থাকে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। জো রুট ও জোস বাটলার কিছুটা লড়াই করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ১২০ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ১৫১ রানে জয় পেল টিম ইন্ডিয়া।
Class 10 Model Activity Task Part 7 October
Bangla (বাংলা) | Math (গণিত) | ENGLISH (ইংরেজি) | Geography (পরিবেশ ও ভূগোল) | History (ইতিহাস) | Life Science (জীবনবিজ্ঞান) | Physical Science (ভৌতবিজ্ঞান)
Class 10 Model Activity Task Part 6 September
Bangla (বাংলা) | Math (গণিত) | ENGLISH (ইংরেজি) | Geography (পরিবেশ ও ভূগোল) | History (ইতিহাস) | Life Science (জীবনবিজ্ঞান) | Physical Science (ভৌতবিজ্ঞান)
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।