প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 6 এর মরশুমের দিনে প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেনীর পাঠ্যবইতে সুভাষ মুখোপাধ্যায় এর লেখা মরশুমের দিনে গদ্য রচনা রয়েছে। পাঠ্যের শেষে যে সব প্রশ্নপত্র গুলি রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
মরশুমের দিনে
সুভাষ মুখোপাধ্যায়
কবি পরিচিতি
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি। তাঁর আদি বাড়ি বর্তমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কুষ্টিয়া জেলার লোকনাথপুর। তাঁর ছোটোবেলা কেটেছে কলকাতার লেবুতলায়। তিনি মিত্র স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তারপর আশুতোষ কলেজ থেকে আই. এ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বি. এ পাশ করেন। তিনি পরিচয় এবং সন্দেশ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। দৈনিক স্বাধীনতা পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ—অগ্নিকোণ, চিরকুট, ফুল ফুটুক, ছেলে গেছে বনে, যত দূরে যাই, কাল মধুমাস, দিন আসবে প্রভৃতি। তাঁর দুটি বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থ-ঢোল গোবিন্দের আত্মদর্শন, কাঁচা-পাকা। তিনি পাবলো নেরুদা, নাজিম হিকমত, হাফিজ প্রভৃতির কবিতা অনুবাদ করেছেন। তিনি নানা পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। বিশ্বভারতী তাঁকে দেশিকোত্তম, মধ্যপ্রদেশ সরকার তাঁকে কবীর সম্মানে ভূষিত করেছে। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্য অকাদিমি পুরস্কার, ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়েছেন।
হাতে কলমে
১.১ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থটির নাম কী ?
উত্তর : ‘পদাতিক’ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
১.২ তাঁর লেখা একটি গদ্যের বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : ‘ঢোল গোবিন্দের আত্মদর্শন’ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের একটি গদ্যের বই।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ ধান শব্দটি কোন্ শব্দ থেকে এসেছে?
উত্তর : ‘ধান’ শব্দটি ‘ধন’ শব্দ থেকে এসেছে।
২.২ ‘অগ্রহায়ণ’ বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : ‘অগ্র’ মানে আগে আর ‘হায়ন’ মানে বছর। সুতরাং অগ্রহায়ণ মানে বছরের আরম্ভ।
২.৩ এদেশের সমস্ত পালা-পার্বণ, আনন্দ-উৎসব — এসবের মূলে কী রয়েছে?
উত্তর : এদেশের সমস্ত পালা-পার্বণ, আনন্দ-উৎসবের মূলে আছে চাষবাস বা কৃষিকাজ।
২.৪ বসুধারা ব্রত কোন্ ঋতুতে হয় ?
উত্তর : বসুধারা ব্রত গ্রীষ্ম ঋতুতে হয়।
২.৫ মেঘকে নামাবার জন্য মেয়েরা দল বেঁধে ছড়া করে তাকে কী কী নামে ডাকে?
উত্তর : মেঘকে নামাবার জন্য মেয়েরা দল বেঁধে ছড়া করে তাকে যেসব নামে ডাকে- কালো মেঘা, ফুলতোলা মেঘা, ধুলোট মেঘা, তুলোট মেঘা।
৩. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণ এবং বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো :
মফস্বল, বৎসর, খর, ব্রত, বিস্তর, পর্বত, ঝড়।
উত্তর : মফস্বল (বিশেষ্য) — মফস্বলি (বিশেষণ)। বৎসর (বিশেষ্য) — বাৎসরিক (বিশেষণ)। খর (বিশেষণ)—খরতা (বিশেষ্য)। ব্রত (বিশেষ্য)—ব্রতী (বিশেষণ)। বিস্তর (বিশেষণ) — বিস্তার (বিশেষ্য)। পর্বত (বিশেষ্য) – পার্বত্য (বিশেষণ)। ঝড় (বিশেষ্য) – ঝড়ো (বিশেষণ)।
৪. নীচের বাক্যগুলি গঠনগতভাবে কোটি কী ধরনের লেখো (সরল/ যৌগিক/ জটিল) :
8.১ গ্রামের যাত্রীরা নেমে নেমে যাবে মাঝরাস্তায়।
উত্তর : সরল বাক্য ।
৪.২ যেখানে ঘাসের চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না, হঠাৎ চোখে পড়বে সেখানে যেন কে সবুজ জাজিম পেতে রেখেছে।
উত্তর : জটিল বাক্য।
৪.৩ আয় বৃষ্টি ঝেপে, ধান দেব মেপে।
উত্তর : যৌগিক বাক্য ।
8.8 খড় কিংবা টিনের চাল।
উত্তর : যৌগিক বাক্য ।
৫. নীচের বাক্যগুলি থেকে শব্দবিভক্তি এবং অনুসর্গ খুঁজে নিয়ে লেখো :
৫.১ কেউ এসেছিল দোকানের জন্য মাল তুলতে।
উত্তর : দোকান + এর শব্দবিভক্তি, জন্য অনুসর্গ ।
৫.২ বৃষ্টির ঝমঝম শব্দে অন্য সমস্ত আওয়াজ ডুবে যায়।
উত্তর : বৃষ্টি + র শব্দবিভক্তি, শব্দ + এ শব্দবিভক্তি, ডুব + এ শব্দবিভক্তি।
৫.৩ সন্ধে নাগাদ উলু দিয়ে ব্রত শেষ হয়।
উত্তর : দিয়ে অনুসর্গ।
৫.৪ ছেলেরা হই হই করে ছোটে আমবাগানে।
উত্তর : ছেলে + রা শব্দবিভক্তি, বাগান + এ শব্দবিভক্তি।
৬.পাঠ থেকে নিম্নলিখিত শব্দগুলির সমার্থক শব্দ খুঁজে লেখো : অম্বর, ধরা, মৃত্তিকা, প্রান্তর, তটিনী।
উত্তর : অম্বর—আকাশ। ধরা—পৃথিবী। মৃত্তিকা—মাটি। প্রান্তর —মাঠ। তটিনী —নদী।
৭. নীচের সমোচ্চারিত/প্রায়-সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ লেখো।
উত্তর : ধোয়া—ধৌত করা/ধোঁয়া—ধূম।
জলে—জলের মধ্যে/জ্বলে—প্রজ্বলিত হয়। বাধা—বিপদ/বাঁধা— আটকানো। গায়ে—শরীরে/গাঁয়ে — গ্রামে।
ঝরে—খসে পড়ে/ঝড়ে ঝড়বৃষ্টিতে।
৮. শুদ্ধ বানানটিতে / চিহ্ন দাও :
৮.১ মুহূর্ত/মূহুর্ত/মুহূর্ত।
৮.২ অগ্রহায়ন/অগ্রহায়ন/অগ্রহায়ণ।
৮.৩ বিলক্ষণ/বিলক্ষন/বিলখ্যন ।
৮.৪ মরিচিকা/মরীচিকা/মরীচীকা।
উত্তর : ৮.১ মুহূর্ত । ৮.২ অগ্রহায়ণ । ৮.৩ বিলক্ষণ । ৮.৪ মরীচিকা ।
৯. বেলা, ডাল, সারা, চাল—এই শব্দগুলিকে দুটি পৃথক অর্থে ব্যবহার করে দুটি করে বাক্য লেখো।
উত্তর : ১। বেলা (সময় অর্থে) – অনেক বেলা হয়ে গেলো, এখনো কাজ সারা হলো না।
বেলা (বেলন অর্থে)-আমি ভালো রুটি বেলতে পারি না।
২। ডাল (শাখা অর্থে)—গাছের ডালে দুটো পাখি বসে আছে।
ডাল (খাদ্য বিশেষ)—আমি ভাতে ডাল মেখে খেতে ভালোবাসি ।
৩। সারা (সমস্ত অর্থে) – সারা সকাল ছেলেটা দৌড়ে বেড়ালো ।
সারা (সমাপ্ত অর্থে)—আমার সব কাজ সারা হয়ে গেছে।
৪। চাল (খাদ্য বিশেষ)—ধান থেকে চাল হয়।
চাল (ছাউনি অর্থে) ঝড়ে ঘরের চাল উড়ে গেছে।
১০. টীকা লেখো : মরীচিকা, বসুধারা, ব্রত, মেঘরানীর কুলো, ভাদুলি।
উত্তর :
মরীচিকা : ধূ ধূ মরুভূমিতে পথ চলতে অনেক সময় দূর থেকে জল দেখা যায়। তাই দেখে পথশ্রমে ক্লান্ত মানুষ অনেক সময় জল ভেবে এগিয়ে যায়। কিন্তু সামনে গিয়ে দেখা যায় যে তা জল নয়। বালির উপর সূর্যের আলো পড়ে সেই আলো পথিকের চোখে বিচ্ছুরিত হলে সেখানে জল আছে বলে ভ্রম হয়। একেই মরীচিকা বলে।
বসুধারা ব্রত : আকাশের কাছে জল চেয়ে বসুন্ধরা ব্রত করা হয়। গ্রীষ্মকালে মাঠঘাট, নদনদী খালবিল শুকিয়ে যায়। জলের জন্য হাহাকার দেখা যায়। সূর্যরশ্মিতে তখন যেন আগুন ঝরে পড়ে। লোকে ছায়া খোঁজে। তখন আকাশের কাছে জল চেয়ে বসুধরা ব্রত করে।
মেঘরানীর কুলো : এটি বৃষ্টি নামানোর একটি প্রথা। কুলো, জল, ঘট নিয়ে চাষিঘরের অল্পবয়সী মেয়েরা দলে দলে পাড়ায় বেরিয়ে পড়ে। তারা বাড়িবাড়ি ঘুরে গান গায়। গান গেয়ে বাড়িবাড়ি থেকে চাল-তেল-সিঁদুর পায় কখনো দু-চারটে পয়সা ও পান-সুপারি পায়। তারা মেঘকে নানারকম লোভ দেখায় ও প্রতিশ্রুতি দেয়, যাতে মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরে পড়ে।
ভাদুলি ব্রত : বর্ষার শেষাশেষি এই ব্রত মেয়েরা পালন করেন। মাটিতে আলপনা আঁকে সাত সমুদ্র, তেরো নদী। নদীর চড়া। কাঁটার পর্বত। বন, ভেলা, বাঘ, মোষ, কাক, বক, তালগাছে বাবুইয়ের বাসা।—এই ব্রত সেই দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন এদেশে সওদাগররা সাতডিঙা ভাসিয়ে সমুদ্রে বাণিজ্যে যেতো। ব্রতের ছড়ায় সেই ছবি জীবন্ত হয়ে ধরা দেয়।
১১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১১.১ বাস-ডিপোয় অপেক্ষমান যাত্রীদের ছবি কীভাবে পাঠ্যাংশে ধরা পড়েছে?
উত্তরঃ বাস-ডিপোয় বাস দাঁড়িয়ে আছে। বাস কন্ডাক্টর ও ক্লিনার ধরাধরি করে বাসের ছাদে মাল তুলছে। কেউ কেউ সারা পথ যাবে না। সবাই কিছু না কিছু কাজে এসেছিলো। অনেকে বাসের সীটে নিজেদের কিছু জিনিস রেখে সীটের দখল নিয়ে বাইরে এসে দাঁড়ায়। ড্রাইভার চায়ের দোকানে চা খেতে ঢুকলে অপেক্ষমান যাত্রীরা আশপাশে ঘুরঘুর করে কিন্তু নজর থাকে ড্রাইভারের দিকে। গরমের সময় যাত্রীরা ছায়ায় দাঁড়ায়, শীতে রোদ পোহায়।
১১.২ ‘গ্রামের সঙ্গে শহরের যে এখনও নাড়ির টান’—এই নাড়ির টানের প্রসঙ্গ রচনাংশে কীভাবে এসেছে?
উত্তর : মাঠে ফসল উঠলে বাসে ভিড় হয়। লোকে বিয়ের পাত্রী দেখা, পুজো দেওয়া, জিনিস কেনা, মামলার তদবির করা, এমনকি সিনেমা দেখা ইত্যাদি উপলক্ষে শহরে যায়। উকিল মোক্তার, পুরুত বামুন, দরজি দোকানি সবাই দুটো পয়সার মুখ দেখে। এর থেকেই গ্রাম ও শহরের মধ্যে নাড়ীর টান লক্ষ করা যায়।
১১.৩ ‘ধানের সবচেয়ে বড়ো বন্ধু বৃষ্টি’—বৃষ্টির সময়ে ধানক্ষেতের ছবিটি কেমন? অন্য যে যে সময়ে ধান চাষ হয়ে থাকে, তা লেখো।
উত্তর : বৃষ্টির সময় ধানক্ষেত জলে ভরে যায়। জমিতে লাঙ্গল দেওয়ার পর ধানের চারা রোয়া হয়। চারাগাছগুলি বৃষ্টিতে আরও বড়ো হয়। অঝোর বৃষ্টির ধারা কাঁচা ধানগাছে পড়ে এক অপূর্ব চিত্র তৈরি করে। বাতাসে সবুজ ধানগাছগুলো মাথা দুলিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।
বর্ষা ছাড়াও বৈশাখ মাসে এবং শীতকালেও ধানের চাষ হয়।
১১.৪ ‘আগে বছর আরম্ভ হতো অগ্রহায়ণে —–এর সম্ভাব্য কারণ কী ?
উত্তর : অগ্র মানে আগে বা শুরু, হায়ন মানে বছর। ‘অগ্রহায়ণ’-এর অর্থ বছরের গোড়া বা শুরু। অন্যদিকে হায়ন মানে বছর বা ফসল। ধান না ফললে মানুষ বাঁচবে না। তাই ফসল ওঠার সময়কে গুরুত্ব দিতে অগ্রহায়ণ মাস থেকে বছর শুরু হত।
১১.৫ ‘এদেশের যতো পালা-পার্বণ, উৎসব-আনন্দ, সব কিছুরই মূলে রয়েছে চাষবাস।’—বাংলার উৎসব-খাদ্য-সংস্কৃতির সঙ্গে চাষবাস কতটা জড়িত বলে তুমি মনে করো ?
উত্তর : বাংলার উৎসব, খাদ্য, সংস্কৃতির সঙ্গে চাষবাস অনেকটাই যুক্ত আছে। চাষবাস ছাড়া বাঙালির খাওয়া দাওয়া হয় না। বাঙালিদের উৎসব সম্পূর্ণ হয় না। ধান থেকে চাল হয় চাল বা ভাতই বাঙালির প্রধান খাদ্য। তাছাড়া ফসল ঘরে উঠলে তবেই বাঙালি গৃহস্থের হাতে পয়সা আসে, তারা আমোদ আহ্লাদ করতে পারে। চাষবাসকে ঘিরে বাঙালিদের গানবাধা, আনন্দ উৎসব করা এসবই বাঙালি সংস্কৃতির অঙ্গ।
১১.৬ শহর ছাড়ালেই দু-পাশে দেখা যাবে’—শহরের চিত্রটি কেমন? তা ছাড়িয়ে গেলে কোন্ দৃশ্য দেখা যাবে?
উত্তর : শহরে দেখা যাবে পাকা রাস্তা, ঘনঘন পাকা বাড়ি, সুসজ্জিত বহু দোকানপাট, নানারকম গাড়িঘোড়া, হাসপাতাল, সিনেমা, বাজার, অফিস-আদালত প্রভৃতি। গাছপালা নাই বললেই চলে।
শহর ছাড়ালেই দুপাশে দেখা যাবে মাথার ওপর দরাজ আকাশ। বাস রাস্তার দুধারে বট-পাকুড় শাল-সেগুনের গাছ। তার ডালে দৃষ্টি মাঝে মাঝে আটকে যাবে। কালো কুচকুচে বাঁধানো রাস্তা। মাঝে মাঝে বাঁক নিয়ে সোজা সামনে চলে গেছে। লোকালয় ছাড়ালেই দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ। বড়ো গ্রামে কিছু কিছু পাকা বাড়ি দেখা যায়। ছোটো গ্রামের বাড়িগুলি মাটির—খড়, বা টালির ছাউনি। একেক ঋতুতে প্রকৃতির এক এক রূপ।
১১.৭ ‘এই রাস্তার ওপরই এক ভারি মজার দৃশ্য দেখা যায়’—মজার দৃশ্যটি কেমন তা নিজের ভাষায় লেখো ।
উত্তর : গরমকালে চারিদিকের হাওয়া যখন তেতে আগুন হয়ে থাকে তখন রাস্তার ওপর খুব মজার দৃশ্য দেখা যায়। দূরে যেন জল চিকচিক করছে বলে মনে হয় আর সেই জলে দুপাশের গাছের ছায়া উলটো হয়ে পড়েছে। কাছে গেলে ছায়া বা গাছ কোনোটাই দেখা যায় না। একে লেখক মরীচিকার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
১১.৮ ব্রতের ভিতর দিয়ে মনে পড়ে যায় সেই আপনজনদের কথা, যারা দূরে আছে’—শিক্ষক/শিক্ষিকার সাহায্য নিয়ে এমনই কিছু ‘ব্রত’র ছড়া খাতায় সংগ্রহ করো।
উত্তর : নিজে করো।
১১.৯ বিভিন্ন ঋতুবিষয়ক প্রচলিত ছড়া আর ছবি সাজিয়ে নিজেরা লিখে বিদ্যালয়ে একটি দেয়াল-পত্রিকা তৈরি করো।
উত্তর : নিজে করো।
১১.১০ ‘ধান কাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য’——এই দৃশ্যে কোন্ ঋতুর ছবি ফুটে উঠেছে? সেই ঋতু সম্পর্কে কয়েকটি বাক্যে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তর : এই দৃশ্যে গ্রীষ্মের কথা বলা হয়েছে।
গ্রীষ্মকালে সূর্যের তাপ প্রচন্ড বাড়ে। পুকুর, নদী, খাল, বিল শুকিয়ে যায়। সবুজ গাছপালা শুকিয়ে আসে। মাঠ ফেটে চৌচির হয়। আগুনের হলকা ছোটে। জলের জন্য হাহাকার পড়ে যায়। গরমে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর কষ্টের শেষ থাকে না। গ্রীষ্মকালে মাঝে মাঝে কালবৈশাখীর ঝড় দেখা দেয়। তখন সামান্য বৃষ্টি হয় ও গরম কিছুটা কমে। গ্রীষ্মকালে নববর্ষ, রবীন্দ্র জয়ন্তী, জামাইষষ্ঠী প্রভৃতি মানুষের মনে আনন্দ এনে দেয়।
আরো পড়ুন
ভরদুপুরে কবিতা | নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী | প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা
শঙ্কর সেনাপতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
খোলামেলা দিনগুলি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | শান্তিসুধা ঘোষ
পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | হাইনরিখ হাইনে
ঘাসফড়িং কবিতার প্রশ্ন উত্তর | অরুণ মিত্র | GhashForing Question Answer | Class 6 | Wbbse
চিঠি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | জসীমউদ্দিন | Chithi Question Answer | Class 6 | Wbbse
হাট কবিতার প্রশ্ন উত্তর | যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত | Hat Question Answer | Class 6 | Wbbse
মরশুমের দিনে প্রশ্ন উত্তর | সুভাষ মুখোপাধ্যায় | Morsumer Dine Question Answer | Class 6 | Wbbse
পিঁপড়ে কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Pipre Question Answer | Class 6 | WBBSE
ফাঁকি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | Faki Question Answer | Class 6 | WBBSE
চিত্রগ্রীব এর প্রশ্ন উত্তর | Chitrogrib Question Answer | Class 6 | WBBSE
আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্ন উত্তর | Ashirbad Class 6 Question Answer | WBBSE
এক ভুতুড়ে কান্ড প্রশ্ন উত্তর Class 6 | Ek Bhuture Kando Question Answer
বাঘ কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Class 6 Bengali Bagh Question Answer
বঙ্গ আমার জননী আমার প্রশ্ন উত্তর | Bongo Amar Jononi Amar Question Answer | Class 6
শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস প্রশ্ন উত্তর | Class 6 Bengali Shahid Jatindra Nath Das Question Answer
ধরাতল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Dhoratol Bengali Poem Question Answer | Class 6
মোরা দুই সহোদর ভাই কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Class 6 | West Bengal Board
হাবুর বিপদ প্রশ্ন উত্তর | Habur Bipod Question Answer | Class 6 | West Bengal Board
কিশোর বিজ্ঞানী কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Kishore Bigyani Question Answer | Class 6 | West Bengal Board
ননীদা নট আউট প্রশ্ন উত্তর (মতি নন্দী) | Nonida Not Out Question Answer | Class 6 | Wbbse
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।