ঐতিহাসিক উপাদানরূপে ‘বঙ্গদর্শন পত্রিকার মূল্যায়ন করাে।

ঐতিহাসিক উপাদানরূপে ‘বঙ্গদর্শন পত্রিকার মূল্যায়ন করাে। 
অথবা,
‘বঙ্গদর্শন’ নামক সাময়িকপত্র থেকে কীভাবে ভারতের ইতিহাসের উপাদান পাওয়া যায় ? Mark 4 | Class 10

উত্তর:-

ভূমিকা : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রকাশিত ‘বঙ্গদর্শন’-এ। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি ইতিহাস, পুরাতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, ধর্মতত্ত্ব, বিজ্ঞান ও কৃষিতত্ত্ব আলােচনা, গ্রন্থ আলােচনা ও বাঙালির জীবনচর্চাও প্রকাশিত হত। তাই ‘বঙ্গদর্শন’ থেকে প্রাপ্ত উপাদানকে ভারত ইতিহাসের উপাদান রূপে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন— 

১) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত : বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ওপর আধুনিক বঙ্গসমাজ নির্মিত হয়েছে। ‘বঙ্গদর্শন’-এর এরূপ মতামত ও আলােচনা ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ আলােচনাকালে । উপাদানরূপে ব্যবহার করা যায়।

২) স্বার্থ সংঘাত : ‘বঙ্গদর্শন’ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটিশ । শাসনকালে ইংরেজি শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এঁরা। স্বার্থ সম্পর্কে উদাসীন থাকায় কৃষক শ্রেণির সঙ্গে শিক্ষিত মানুষের সামাজিক সংঘাত শুরু হয়।

৩) কৃষক স্বার্থ সংরক্ষণ : চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ও জমিদারি প্রথার কারণে কৃষক-স্বার্থ নষ্ট হলে ‘বঙ্গদর্শন’-এ কৃষক স্বার্থ। সংরক্ষণের কথা প্রচার করা হয়। স্বাভাবিক কারণেই বঙ্গদেশের কৃষক অসন্তোষের ব্যাখ্যাকালে ‘বঙ্গদর্শন’ থেকে প্রাপ্ত তথ্য খুবই প্রাসঙ্গিক বঙ্গদর্শন।

8) মূল্যায়ন : অনেকে বঙ্কিমচন্দ্র সম্পাদিত বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত লেখার মধ্যে স্ববিরােধিতা দেখেছেন। কিন্তু এই বক্তব্য অমূলক। বঙ্কিমচন্দ্র প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য জ্ঞানচর্চায় পারদর্শী ছিলেন। তার পত্রিকা বাংলায় মানসিক জাগরণ সৃষ্টি করে। বিপিনচন্দ্র পাল ‘বঙ্গদর্শনের যুগ’ বলে ১৮৭০-এর দশককে চিহ্নিত করেছেন।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment